ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫

সমতায় শেষ ইন্টার-নাপোলির লড়াই

  • আপডেট সময় : ০৪:০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: বাম পায়ের শট কোনোমতে ফিরিয়ে দিলেন ইন্টার মিলান গোলরক্ষক হোসেফ মার্তিনেস। বল ফিরে পেয়ে ডান পায়ে দুর্বল শট নিতে পারলেন ফিলিপ বিলিং। সেটাই চলে গেল জালে! শেষ সময়ের এই গোলে হার এড়াল নাপোলি। দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে শনিবার সেরি আর লড়াইটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। চমৎকার ফ্রি কিক প্রথমার্ধে ইন্টারকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ফেদেরিকো দিমার্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বিলিংয়ের ওই গোলে সমতায় ফেরে নাপোলি।

২৭ ম্যাচে ১৭ জয় ও সাত ড্রয়ে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে ইন্টার। কোমোর বিপক্ষে আগের রাউন্ডে হেরে যাওয়া নাপোলি ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। প্রায় প্রতিটি সূচকে নাপোলির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। ৬২ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা। এর চারটি ছিল লক্ষ্যে। ইন্টার ৬ শটের কেবল একটি রাখতে পারে লক্ষ্যে, সেটিই যায় জালে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠা লড়াইয়ে ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইন্টার। গতিময় ফ্রি কিকে জাল খুঁজে নেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফেদেরিকো দিমার্কো। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বরের পর সেরি আয় সরাসরি ফ্রি কিকে এটাই ইন্টারের প্রথম গোল। বোলোনিয়ার বিপক্ষে সেই গোল করেছিলেন দিমার্কোই। ৩২তম মিনিটে জিয়াকোমো রাসপাদোরির বাইসাইকেল কিক ঠেকিয়ে দেন ইন্টার ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি। দুই মিনিট পর নাপোলি ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুর ভলি জড়ায় পার্শ্ব জালে। ৩৫তম মিনিটে আমির রাহমানির দারুণ থ্রু বল পেয়ে গোলরক্ষককেও কাটিয়েছিলেন রাসপাদোরি। কিন্তু বাজে একটি স্পর্শের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হারান তিনি। পায়ে লেগে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।

যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটুর জন্য ব্যবধান বাড়াতে পারেননি দিমার্কো। তার শট আলেস্সান্দ্রো বনজোরনোর পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ইন্টারের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে নাপোলি। তবে ডিফেন্ডারদের বাধা পেরিয়ে গোলরক্ষকের তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারছিল না তারা। ৬৫তম মিনিটে কর্নারের পর ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বুলেট গতির শটে গোলের চেষ্টা করেন স্কট ম্যাকটমিনে। লক্ষ্যে এটাই নাপোলির প্রথম শট। বিরামহীন আক্রমণের সুফল নাপোলি পায় ৮৭তম মিনিটে। স্তানিস্লাভ লোবোতকার কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে জোরাল শট নেন বিলিং। ঝাঁপিয়ে সেটা ফিরিয়ে দেন মার্তিনেস। শট নিয়ে একটু ডানে সরে যান বিলিং, বলও যায় সেদিকেই! সুযোগ পেয়ে কোনোমতে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। জয়সম ড্রয়ের উল্লাসে মাতে নাপোলি। বাকি সময়ে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালিয়ে যায় স্বাগিতকরা। কিন্তু মার্তিনেসকে আর পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সমতায় শেষ ইন্টার-নাপোলির লড়াই

আপডেট সময় : ০৪:০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: বাম পায়ের শট কোনোমতে ফিরিয়ে দিলেন ইন্টার মিলান গোলরক্ষক হোসেফ মার্তিনেস। বল ফিরে পেয়ে ডান পায়ে দুর্বল শট নিতে পারলেন ফিলিপ বিলিং। সেটাই চলে গেল জালে! শেষ সময়ের এই গোলে হার এড়াল নাপোলি। দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা স্টেডিয়ামে শনিবার সেরি আর লড়াইটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। চমৎকার ফ্রি কিক প্রথমার্ধে ইন্টারকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ফেদেরিকো দিমার্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বিলিংয়ের ওই গোলে সমতায় ফেরে নাপোলি।

২৭ ম্যাচে ১৭ জয় ও সাত ড্রয়ে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে ইন্টার। কোমোর বিপক্ষে আগের রাউন্ডে হেরে যাওয়া নাপোলি ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। প্রায় প্রতিটি সূচকে নাপোলির আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। ৬২ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা। এর চারটি ছিল লক্ষ্যে। ইন্টার ৬ শটের কেবল একটি রাখতে পারে লক্ষ্যে, সেটিই যায় জালে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠা লড়াইয়ে ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইন্টার। গতিময় ফ্রি কিকে জাল খুঁজে নেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফেদেরিকো দিমার্কো। ২০২২ সালের ৯ নভেম্বরের পর সেরি আয় সরাসরি ফ্রি কিকে এটাই ইন্টারের প্রথম গোল। বোলোনিয়ার বিপক্ষে সেই গোল করেছিলেন দিমার্কোই। ৩২তম মিনিটে জিয়াকোমো রাসপাদোরির বাইসাইকেল কিক ঠেকিয়ে দেন ইন্টার ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি। দুই মিনিট পর নাপোলি ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুর ভলি জড়ায় পার্শ্ব জালে। ৩৫তম মিনিটে আমির রাহমানির দারুণ থ্রু বল পেয়ে গোলরক্ষককেও কাটিয়েছিলেন রাসপাদোরি। কিন্তু বাজে একটি স্পর্শের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হারান তিনি। পায়ে লেগে বল চলে যায় মাঠের বাইরে।

যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটুর জন্য ব্যবধান বাড়াতে পারেননি দিমার্কো। তার শট আলেস্সান্দ্রো বনজোরনোর পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ইন্টারের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে নাপোলি। তবে ডিফেন্ডারদের বাধা পেরিয়ে গোলরক্ষকের তেমন একটা পরীক্ষা নিতে পারছিল না তারা। ৬৫তম মিনিটে কর্নারের পর ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বুলেট গতির শটে গোলের চেষ্টা করেন স্কট ম্যাকটমিনে। লক্ষ্যে এটাই নাপোলির প্রথম শট। বিরামহীন আক্রমণের সুফল নাপোলি পায় ৮৭তম মিনিটে। স্তানিস্লাভ লোবোতকার কাছ থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে জোরাল শট নেন বিলিং। ঝাঁপিয়ে সেটা ফিরিয়ে দেন মার্তিনেস। শট নিয়ে একটু ডানে সরে যান বিলিং, বলও যায় সেদিকেই! সুযোগ পেয়ে কোনোমতে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। জয়সম ড্রয়ের উল্লাসে মাতে নাপোলি। বাকি সময়ে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালিয়ে যায় স্বাগিতকরা। কিন্তু মার্তিনেসকে আর পরাস্ত করা সম্ভব হয়নি।