ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫

বেগুন-শসা-লেবুর দামে অস্বস্তি

  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান সামনে রেখে বেগুন-শসা ও লেবুর দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। অথচ দেখার কেউ নেই। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়লে দাম একটু বাড়বেই। জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানের আগে অধিকাংশ ইফতারি পণ্যের চড়া দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ-শসা, বেগুন ও লেবুর দাম রাখা হচ্ছে বেশি। আবার পেঁয়াজু, আলুরচপ বানাতে প্রয়োজন সয়াবিন তেল। পণ্যটি ঘিরে নৈরাজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গতকাল শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও বিভিন্ন শীতকালীন সবজির দাম।

এবার অনেকটাই স্থিতিশীল ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দর। ক্রেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, বেগুন-শসা ও লেবুর দাম খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, তারা রাতারাতি ১০-২০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ দেখার কেউ নেই। রাজধানীর মুসলিম বাজার ও মিরপুর ১২ নম্বর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩-৪ দিন ধরেই বাড়তি শসার দাম। হাইব্রিড, দেশি শসা ও ছোট আকারের খিরা পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। হাশমত নামের এক দোকানি জানান, চাহিদা বাড়লে দাম একটু বাড়বেই। গত বছরের রোজায় মানুষ শসা ১০০ টাকায় কিনেছে। বাজারে এখন ভরপুর শসা রয়েছে। শসার মতো দাম বেড়েছে বেগুনেরও। বেগুনি তৈরি করতে চিকন বেগুনের প্রয়োজন হয়। ৪-৫ দিন আগেও প্রতি কেজি চিকন বেগুন কেনা গেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রায় দ্বিগুণের মতো দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

আর গোল বেগুনে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লেবুর। শরবত তৈরির অন্যতম উপাদান লেবু। ইফতারে সবাই শরবত খাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে লেবুর দামও বেড়েছে। প্রতি ডজন বাতাবি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। এছাড়া ১ ডজন দেশি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিহালি বাতাবি লেবু ৫০-৫৫ টাকায় আর কাগজি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। যদিও বিক্রেতাদের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই লেবুর দাম চড়া। মিরপুর ১২ নম্বর কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী শাহিন আলম বলেন, আবার বর্ষায় আসবে লেবু সিজন। অনেক দিন ধরেই লেবুর দাম বাড়তি। বাজারে লেবুও কম। এজন্য দাম একটু বেশি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বেগুন-শসা-লেবুর দামে অস্বস্তি

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজান সামনে রেখে বেগুন-শসা ও লেবুর দাম ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। অথচ দেখার কেউ নেই। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়লে দাম একটু বাড়বেই। জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানের আগে অধিকাংশ ইফতারি পণ্যের চড়া দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ-শসা, বেগুন ও লেবুর দাম রাখা হচ্ছে বেশি। আবার পেঁয়াজু, আলুরচপ বানাতে প্রয়োজন সয়াবিন তেল। পণ্যটি ঘিরে নৈরাজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। গতকাল শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও বিভিন্ন শীতকালীন সবজির দাম।

এবার অনেকটাই স্থিতিশীল ছোলা, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দর। ক্রেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, বেগুন-শসা ও লেবুর দাম খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, তারা রাতারাতি ১০-২০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ দেখার কেউ নেই। রাজধানীর মুসলিম বাজার ও মিরপুর ১২ নম্বর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩-৪ দিন ধরেই বাড়তি শসার দাম। হাইব্রিড, দেশি শসা ও ছোট আকারের খিরা পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। হাশমত নামের এক দোকানি জানান, চাহিদা বাড়লে দাম একটু বাড়বেই। গত বছরের রোজায় মানুষ শসা ১০০ টাকায় কিনেছে। বাজারে এখন ভরপুর শসা রয়েছে। শসার মতো দাম বেড়েছে বেগুনেরও। বেগুনি তৈরি করতে চিকন বেগুনের প্রয়োজন হয়। ৪-৫ দিন আগেও প্রতি কেজি চিকন বেগুন কেনা গেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রায় দ্বিগুণের মতো দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

আর গোল বেগুনে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে লেবুর। শরবত তৈরির অন্যতম উপাদান লেবু। ইফতারে সবাই শরবত খাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে লেবুর দামও বেড়েছে। প্রতি ডজন বাতাবি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। এছাড়া ১ ডজন দেশি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিহালি বাতাবি লেবু ৫০-৫৫ টাকায় আর কাগজি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। যদিও বিক্রেতাদের দাবি বেশ কয়েকদিন ধরেই লেবুর দাম চড়া। মিরপুর ১২ নম্বর কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী শাহিন আলম বলেন, আবার বর্ষায় আসবে লেবু সিজন। অনেক দিন ধরেই লেবুর দাম বাড়তি। বাজারে লেবুও কম। এজন্য দাম একটু বেশি।