ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশে বছরে মারা যায় ২৫ হাজার অপরিণত নবজাতক

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু ডেস্ক: সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। তাদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার নবজাতক স্বল্প ওজনের এবং অপরিণত হওয়ার কারণে মারা যায়। এছাড়া আমাদের দেশে ১৬ শতাংশ অপরিণত নবজাতক এবং ২৩ শতাংশ স্বল্প ওজনের নবজাতকের জন্ম হয়।
কারণ: কম বয়সে মা হওয়া কিংবা অপুষ্টিতে ভোগা মা; মায়ের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা; একের বেশি সন্তান একসঙ্গে গর্ভে থাকা; গর্ভের সন্তানের শারীরিক জটিলতা; মায়ের জরায়ুর সমস্যা এবং মায়ের গর্ভকালীন রক্তপাত।
লক্ষণ: শিশুর ওজন কম এবং আকারে ছোট হওয়া; নড়াচড়া স্বাভাবিক নবজাতকের চেয়ে কম করা; গায়ের চামড়া পাতলা ধরনের হওয়া; চামড়ার নিচে মেদ খুব কম থাকা; অনেক সময় রক্তনালি পরিষ্কার দেখা এবং মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা কিংবা অসুবিধা হওয়া।

জটিলতা: শরীরের তাপমাত্রা এবংয় গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া; শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া; জন্ডিস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া; রক্তস্বল্পতা; সংক্রমণের ঝুঁকি ও এর জটিলতা; হার্টের সমস্যা; অন্ধত্ব ও বধির হওয়ার ঝুঁকি; হজমে অসুবিধা, বমি ও খাদ্যনালির সমস্যা এবং জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি।

এ ধরনের শিশুকে স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। তা হলো অপরিণত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। তাই তাদের উষ্ণ রাখতে হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে; সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নবজাতককে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; শিশুকে ক্যাঙারু মাদার কেয়ারে দিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজন হলে শিশুকে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউয়ে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে।

অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিরোধে করণীয়: সরকার নির্ধারিত বিয়ের বয়স মেনে চলা; মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা, যাতে গর্ভের সন্তানও মায়ের মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি পায়; মাকে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্যান্য সমস্যার সঠিকভাবে চিকিৎসা করা; গর্ভকালে মায়ের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা এবং প্রসূতি মায়ের প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া।
অপরিণত নবজাতক: গর্ভাবস্থায় ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে যে শিশু জন্ম নেয়, তারা অপরিণত নবজাতক।
স্বল্প ওজনের নবজাতক: জন্মের সময় নবজাতকের ওজন ২ হাজার ৫০০ গ্রাম বা ২ দশমিক ৫ কেজির কম হলে তারা স্বল্প ওজনের নবজাতক।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উত্তেজনা-হাতাহাতির মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ গঠিত

দেশে বছরে মারা যায় ২৫ হাজার অপরিণত নবজাতক

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নারী ও শিশু ডেস্ক: সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। তাদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজার নবজাতক স্বল্প ওজনের এবং অপরিণত হওয়ার কারণে মারা যায়। এছাড়া আমাদের দেশে ১৬ শতাংশ অপরিণত নবজাতক এবং ২৩ শতাংশ স্বল্প ওজনের নবজাতকের জন্ম হয়।
কারণ: কম বয়সে মা হওয়া কিংবা অপুষ্টিতে ভোগা মা; মায়ের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা; একের বেশি সন্তান একসঙ্গে গর্ভে থাকা; গর্ভের সন্তানের শারীরিক জটিলতা; মায়ের জরায়ুর সমস্যা এবং মায়ের গর্ভকালীন রক্তপাত।
লক্ষণ: শিশুর ওজন কম এবং আকারে ছোট হওয়া; নড়াচড়া স্বাভাবিক নবজাতকের চেয়ে কম করা; গায়ের চামড়া পাতলা ধরনের হওয়া; চামড়ার নিচে মেদ খুব কম থাকা; অনেক সময় রক্তনালি পরিষ্কার দেখা এবং মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা কিংবা অসুবিধা হওয়া।

জটিলতা: শরীরের তাপমাত্রা এবংয় গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া; শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া; জন্ডিস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া; রক্তস্বল্পতা; সংক্রমণের ঝুঁকি ও এর জটিলতা; হার্টের সমস্যা; অন্ধত্ব ও বধির হওয়ার ঝুঁকি; হজমে অসুবিধা, বমি ও খাদ্যনালির সমস্যা এবং জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি।

এ ধরনের শিশুকে স্বাভাবিক শিশুর তুলনায় বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। তা হলো অপরিণত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। তাই তাদের উষ্ণ রাখতে হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে; সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নবজাতককে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; শিশুকে ক্যাঙারু মাদার কেয়ারে দিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজন হলে শিশুকে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউয়ে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে।

অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিরোধে করণীয়: সরকার নির্ধারিত বিয়ের বয়স মেনে চলা; মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা, যাতে গর্ভের সন্তানও মায়ের মাধ্যমে সঠিক পুষ্টি পায়; মাকে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রেখে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা অন্যান্য সমস্যার সঠিকভাবে চিকিৎসা করা; গর্ভকালে মায়ের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করা এবং প্রসূতি মায়ের প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া।
অপরিণত নবজাতক: গর্ভাবস্থায় ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে যে শিশু জন্ম নেয়, তারা অপরিণত নবজাতক।
স্বল্প ওজনের নবজাতক: জন্মের সময় নবজাতকের ওজন ২ হাজার ৫০০ গ্রাম বা ২ দশমিক ৫ কেজির কম হলে তারা স্বল্প ওজনের নবজাতক।