বিদেশের খবর ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আগামী চার বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। এই সময়ে কোম্পানিটি টেক্সাসে অত্যাধুনিক একটি কারখানা তৈরি করবে। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই বিনিয়োগের ফলে অন্তত ২০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
গবেষণা, উন্নয়ন, সফটওয়্যার ও কৃত্রিম বুুদ্ধিমত্তার ওপরই মূলত জোর দেওয়া হবে। সম্প্রতি অ্যাপলের বস টিম কুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রধিকার দেওয়ার কথা জানান। তার কয়েক দিন পরেই কোম্পানিটি এই ঘোষণা দিলো। টেক্সাসের হিউস্টনে দুই লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের নতুন কারখানাটি এমন সার্ভার তৈরি করবে, যা আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে তৈরি হতো। আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, এটি ২০২৬ সালে চালু হবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
অ্যাপল উত্তর ক্যারোলিনা, আইওয়া, ওরেগন, অ্যারিজোনা এবং নেভাদায় ডেটা সেন্টারের সক্ষমতাও সম্প্রসারণ করছে। এদিকে আইফোন ১৬-এরওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ার শর্ত পূরণ করতে না পারায় অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়া আইফোন ১৬ নিষিদ্ধ করে। ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ মন্ত্রী বলেছেন, অ্যাপল স্মার্টফোন এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য উপাদান তৈরি করে এমন একটি কারখানায় এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে। তবে ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের আইফোন তৈরি শুরু করার কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই। সূত্র: রয়টার্স