ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কেরালায় মোরগের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নালিশ

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাত ৩টা, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন চারপাশ। হঠাৎই ডাকতে শুরু করে প্রতিবেশীর মোরগ। এভাবে প্রতিদিন ঠিক রাত ৩টায় মোরগ চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করে, ঘুম ভেঙে যায় রাধাকৃষ্ণ কুরুপের।

রাধাকৃষ্ণ কুরুপের বয়স হয়েছে। এই বয়সে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুম খুব জরুরি। কিন্তু মোরগের ডাকে প্রতিরাতে ঘুম ভেঙে যায় এই বৃদ্ধের। একসময় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি প্রতিবেশীর মোরগের নামে উপবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নালিশ করে বসেন।

রাধাকৃষ্ণের বাড়ি ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মোরগের ডাকাডাকিতে তিনি ঘুমাতে পারছেন না। এর প্রভাব তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে।

রাধাকৃষ্ণের দাবি, মোরগ ঠিক রাত ৩টা থেকে ক্রমাগত ডাকতে শুরু করে। যে কারণে তাঁর পক্ষে বিশ্রাম নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছিলেন।

এ কারণে প্রতিবেশী অনিল কুমারের মোরগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নালিশ জানাতে তিনি স্থানীয় রেভিনিউ ডিভিশনাল অফিসে (আরডিও) হাজির হন। তাঁর অভিযোগ, অনিলের মোরগ প্রতিরাতে তাঁর ঘুম নষ্ট করছে।

রাধাকৃষ্ণের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় আরডিও কর্তৃপক্ষ। প্রথমে তারা রাধাকৃষ্ণ ও অনিলকে তাদের কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। পরে তদন্তে নেমে আরডিও কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, মোরগের ক্রমাগত ডেকে যাওয়ার শব্দ সত্যি বিরক্তিকর।

তদন্তে নেমে কর্তৃপক্ষ আরও একটি বিষয় লক্ষ করে। তারা দেখতে পায়, রাধাকৃষ্ণের প্রতিবেশী অনিলের বাড়ির ওপরের তলায় মোরগের খাঁচা রাখা। ওপরের তলায় থাকায় মোরগ যখন ডাকে, আশপাশ থেকে শব্দ আরও বেশি জোরে শোনা যায়।

এ সমস্যার সমাধান করতে আরডিও কর্তৃপক্ষ মোরগের মালিককে ১৪ দিনের মধ্যে সেটির খাঁচা সরিয়ে ফেলতে বলেছে। বলেছে, বাড়ির দক্ষিণ প্রান্তের কোথাও খাঁচা রাখতে।

রাধাকৃষ্ণের এই অভিযোগ দায়ের পোষা প্রাণী ও বাড়িতে পশুপাখি পালন নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্য নষ্ট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কেরালায় মোরগের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নালিশ

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাত ৩টা, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন চারপাশ। হঠাৎই ডাকতে শুরু করে প্রতিবেশীর মোরগ। এভাবে প্রতিদিন ঠিক রাত ৩টায় মোরগ চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করে, ঘুম ভেঙে যায় রাধাকৃষ্ণ কুরুপের।

রাধাকৃষ্ণ কুরুপের বয়স হয়েছে। এই বয়সে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুম খুব জরুরি। কিন্তু মোরগের ডাকে প্রতিরাতে ঘুম ভেঙে যায় এই বৃদ্ধের। একসময় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি প্রতিবেশীর মোরগের নামে উপবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নালিশ করে বসেন।

রাধাকৃষ্ণের বাড়ি ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরালায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মোরগের ডাকাডাকিতে তিনি ঘুমাতে পারছেন না। এর প্রভাব তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে।

রাধাকৃষ্ণের দাবি, মোরগ ঠিক রাত ৩টা থেকে ক্রমাগত ডাকতে শুরু করে। যে কারণে তাঁর পক্ষে বিশ্রাম নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছিলেন।

এ কারণে প্রতিবেশী অনিল কুমারের মোরগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নালিশ জানাতে তিনি স্থানীয় রেভিনিউ ডিভিশনাল অফিসে (আরডিও) হাজির হন। তাঁর অভিযোগ, অনিলের মোরগ প্রতিরাতে তাঁর ঘুম নষ্ট করছে।

রাধাকৃষ্ণের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় আরডিও কর্তৃপক্ষ। প্রথমে তারা রাধাকৃষ্ণ ও অনিলকে তাদের কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। পরে তদন্তে নেমে আরডিও কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, মোরগের ক্রমাগত ডেকে যাওয়ার শব্দ সত্যি বিরক্তিকর।

তদন্তে নেমে কর্তৃপক্ষ আরও একটি বিষয় লক্ষ করে। তারা দেখতে পায়, রাধাকৃষ্ণের প্রতিবেশী অনিলের বাড়ির ওপরের তলায় মোরগের খাঁচা রাখা। ওপরের তলায় থাকায় মোরগ যখন ডাকে, আশপাশ থেকে শব্দ আরও বেশি জোরে শোনা যায়।

এ সমস্যার সমাধান করতে আরডিও কর্তৃপক্ষ মোরগের মালিককে ১৪ দিনের মধ্যে সেটির খাঁচা সরিয়ে ফেলতে বলেছে। বলেছে, বাড়ির দক্ষিণ প্রান্তের কোথাও খাঁচা রাখতে।

রাধাকৃষ্ণের এই অভিযোগ দায়ের পোষা প্রাণী ও বাড়িতে পশুপাখি পালন নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্য নষ্ট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে।