ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাজেকে আগুনে পুড়ে ছাই রিসোর্ট-দোকান-বসতঘরসহ ১৫০ স্থাপনা

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে সোমবারের ভয়াবহ আগুনে রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘরসহ প্রায় ১৫০টি স্থাপনার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছবি সংগৃহীত

রাঙামাটি সংবাদদাতা: রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ আগুনে রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘরসহ প্রায় ১৫০টি স্থাপনার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সাজেক ভ্যালিতে দমকলের কোনো স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পাওয়ার পর নিকটবর্তী দমকল স্টেশন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর নেভানোর কাজ শুরু করলেও সাজেকে পানি না থাকায় দূর গ্রাম থেকে বারবার পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছিল। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরও দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। কিন্তু বাতাসের তীব্রতা ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মোট চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আগুনের তীব্রতা এবং পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, সবমিলিয়ে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা হয়নি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাজেকে আগুনে পুড়ে ছাই রিসোর্ট-দোকান-বসতঘরসহ ১৫০ স্থাপনা

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাঙামাটি সংবাদদাতা: রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ আগুনে রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘরসহ প্রায় ১৫০টি স্থাপনার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া সাজেক ভ্যালিতে দমকলের কোনো স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পাওয়ার পর নিকটবর্তী দমকল স্টেশন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। এরপর নেভানোর কাজ শুরু করলেও সাজেকে পানি না থাকায় দূর গ্রাম থেকে বারবার পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছিল। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরও দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। কিন্তু বাতাসের তীব্রতা ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মোট চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আগুনের তীব্রতা এবং পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, সবমিলিয়ে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা হয়নি।