বিনোদন ডেস্ক: প্রথম ঘোষণায় টিজারে নাম থাকলেও শুটিংয়ের আগে ‘টগর’ সিনেমা থেকে বাদ পড়ে যান চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। পরিবর্তে নেওয়া হয় নায়িকা পূজা চেরিকে। দীঘিকে সরানোর কারণ হিসেবে ছবির নির্মাতা আলোক হাসান জানান, দীঘির কাজে পেশাদারিত্বের অভাব থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।এ ঘটনায় দীঘি জানিয়েছেন, বিষয়টি শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ আকারে জানাবেন তিনি এবং মানহানির শিকার হওয়ায় আইনি পদক্ষেপও নেবেন। তার দাবি, বাদ পড়ার কারণও নাকি তিনি জানেন না।
দীঘির এই মন্তব্য ও দাবির প্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছে টগর সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। দীঘির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি এক ফেসবুক পোস্টে দীঘির উদ্দেশে লেখে, ‘বরং নিজের পেশাদারত্বের দিকে মনোযোগ দিলে ভালো করতেন। একটি প্রজেক্টে অনবোর্ড হওয়ার পর দিনের পর দিন পার হয়ে যায়, তিনি স্ক্রিপ্টের ফাইনাল ড্রাফট পড়ার সময় পান না। পরিচালকের ফোন, মেসেজের রিপ্লাই করতে ২৪-৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়, কনটেন্ট প্রমোশনের সময় পান না, এমন পরিস্থিতিতে একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের করণীয় কী থাকে? একটা প্রজেক্টের শুরুতেই যদি এত অনীহা ও দায়িত্বহীনতা কাজ করে, তাহলে রিলিজের সময় কী হবে?’
সেই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘পরিচালক নিজে তাকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানান। এরপর তিনি পরিচালককে কল করেন। তিনি দাবি করেছেন, আমরা যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে পারিনি। অথচ তিনি বাদ পড়েছেন গত ২২ জানুয়ারি। সেদিন তিনি পরিচালকের সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলেছেন। শেষ পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত মেনেও নিয়েছেন। এরপর তিনি তার কো-আর্টিস্ট আদর আজাদের সঙ্গে ৩৪ মিনিট কথা বলেছেন। তারও ঠিক এক মাস পর যখন আমরা তাকে বাদ দিয়ে মোশন পোস্টার প্রকাশ করে টগরের নায়িকার নাম ঘোষণা করলাম, এখন তিনি শিল্পী সমিতিতে অভিযোগের কথা বলছেন। মানহানির কথা বলছেন। অভিযোগ তো আমাদের করার কথা তার অপেশাদারত্বের কারণে।’ দীঘিকে পাল্টা হুমকি দিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করবে; আর্টিস্টরা যদি কাজে কমিটেড না থাকেন, তাহলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
আমরা তো শুধু অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার শুট করেছি, বিশ্বব্যাপী সিনেমার মূল শুটিংয়ের পরও কাস্টিং পরিবর্তনের অসংখ্য নজির রয়েছে। দীঘির অপেশাদারত্বের আরেকটি নমুনা হচ্ছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এক মাস পর অভিযোগের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি যদি এ বিষয়ে আর জল ঘোলা করেন, তাহলে প্রমানস্বরূপ ২২ জানুয়ারি হওয়া তার সঙ্গে টিমের দুটি কনভারসেশনের অডিও অনলাইনে আপলোড করে দেব।’ তবে জানা গেছে, নির্মাতা, প্রযোজকদের সঙ্গে এবারই প্রথম দ্বন্দে জড়াননি দীঘি। এর আগেও ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমা নিয়ে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ থেকে বাদ পড়েও একই কাণ্ড ঘটান দীঘি।