ক্রীড়া ডেস্ক: অসংখ্য আক্রমণে লিভারপুলের কঠিন পরীক্ষা নিল ম্যানচেস্টার সিটি। অনেক সূচকে এগিয়ে থাকল তারাই। তবে বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলে আসল কাজটা করল লিভারপুল। বুদ্ধি আর কৌশলের পরীক্ষায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে মস্ত এক বাধা পার হলো আর্না স্লটের দল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সোমবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লিভারপুলের জয় ২-০ গোলে। মোহামেদ সালাহ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দোমেনিক সোবোসলাই। ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও সাত ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। আর্সেনালের সমান ২৬ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। সমান ম্যাচে অষ্টম হারের পর চতুর্থ স্থানেই আছে সিটি, তাদের পয়েন্ট ৪৪।
৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৬ শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে সিটি। তবে এর কোনোটিই আলিসনকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। অন্যদিকে ৮ শটের চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে লিভারপুল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠা ম্যাচে চতুর্দশ মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। সফরকারীরা ম্যাচে নিজেদের প্রথম কর্নার পাওয়ার পর ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, চলতি মৌসুমে আর্না স্লটের দল কর্নার থেকে খুব বেশি গোল পাচ্ছে না। বুদ্ধিদীপ্ত গোলে যেন তাদের জবাবই দেন লিভারপুলের খেলোয়াড়রা। আলেক্সিস মাক আলিস্তের কর্নারে কাছের পোস্টে খুঁজে নিলেন সোবোসলাইকে। তার ফ্লিকে পেনাল্টি স্পটের কাছ বল পেয়ে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন সালাহ।
এতে অবশ্য ভাগ্যেরও একটু সহায়তা আছে। সিটির একজন খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টানোয় বল চলে যায় এদেরসনের নাগালের বাইরে। চলতি আসের এটি সালাহর ২৫তম গোল। ৬ গোল কম নিয়ে তালিকার দ্ইুয়ে আর্লিং হলান্ড। আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল সিটি। এর মধ্যেই ৩০তম মিনিটে জালে বল পাঠান ওমার মার্মাউশ। তবে সিটির এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। সাত মিনিট পর ব্যবধান ২-০ করে লিভারপুল। সালাহর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথার শটে জাল খুঁজে নেন সোবোসলাই।
দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণে লিভারপুলের রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করে সিটি। তবে গোলমুখে হলান্ডের অভাব ভালোভাবেই টের পায় তারা। প্রতি-আক্রমণে মন দেওয়া লিভারপুল ৫৬তম মিনিটে বল জালে পাঠায়। তবে কার্টিস জোন্স অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল। দুই মিনিট পর মার্মাউশের বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। হাতছাড়া হয় সিটির আরেকটি ভালো সুযোগ। সিটির টানা আক্রমণের মুখে নিজেদের অর্ধ ছেড়েই তেমন একটা বের হতে পারছিল না লিভারপুল। তবে ডি-বক্সে এতো পায়ের ভীড়ে লক্ষ্যে শট নিতে ভুগছিল স্বাগতিকরা। ৭২তম মিনিটে একটা সুযোগ পান জেরেমি ডোকু, তার শটে খুব বেশি জোর না থাকায় ফেরাতে সমস্যা হয়নি আলিসনের। বাকি সময়েও একই তালে খেলে যায় সিটি। কিন্তু ভাঙতে পারেনি লিভারপুলের জমাট রক্ষণ।