ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছাত্রদলের মধ্যে ছাত্রলীগের ‘প্রতিচ্ছবি’ দেখছেন শিবির সভাপতি

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চলমান বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ‘পথ অনুসরণ করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে যে জন-আকাঙক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা কিছু ছাত্রসংগঠনের আধিপত্য নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, দখলদারি, ট্যাগিং ও দোষ চাপিয়ে দেওয়ার হীন সংস্কৃতি চালু রাখার ফলে নষ্ট হচ্ছে।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলকে তাদের পথ অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিবির সভাপতি।

খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিজেরা সন্ত্রাসী কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তার দায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যার প্রবক্তা ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ।

ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে ‘অন্যায়ভাবে দমনের চেষ্টার’ অভিযোগও তিনি ছাত্রদলের বিরুদ্ধে তোলেন। ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ‘শিবির কোবানো বা কোপানো জায়েজ আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে’ এমন বীভৎস ঘোষণা দিচ্ছে।

কুয়েটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে। খুলনার শিববাড়ীতে তাদের মিছিলে ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দেওয়া হয়। এমন ভয়ঙ্কর স্লোগান আমরা ছাত্রলীগের মুখে শুনতাম, ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি।

‘গণহত্যাকারী’ শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশেও ‘ফ্যাসিবাদের টুলসগুলো’ কিছু ছাত্রসংগঠন ঘোষণা দিয়ে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন শিবির সভাপতি।

তিনি বলেন, অপরাধীদের হাত বদল হলেও অপরাধ আগের মতই চলছে। সারাদেশে শত শত জায়গায় চাঁদাবাজি, দখলদারি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কোনো পরিবর্তন হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি যশোরের চাঁচড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় সম্রাট নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর চোখ উপড়ে ফেলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। গতকাল (শনিবার) গাজীপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা আদায় করার ঘটনা আপনারা দেখেছেন। প্রতিদিন এমন অসংখ্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখা দেওয়া হয় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে। জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কুয়েট, সিলেট এমসি কলেজ এবং তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় যে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তা একটি ছাত্রসংগঠনের নব্য ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার ধারাবাহিকতারই অংশ।

কুয়েটে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রদল-যুবদলের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য দিবালোকে পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়। ছাত্রদল তাদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেয়। প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা’ প্রদান করে, যার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে যায়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে উগ্র বাম কমিউনিস্টদের ভোট দিতে দেওয়া হয় ২৯ মিলিয়ন ডলার

ছাত্রদলের মধ্যে ছাত্রলীগের ‘প্রতিচ্ছবি’ দেখছেন শিবির সভাপতি

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চলমান বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ‘পথ অনুসরণ করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে যে জন-আকাঙক্ষা তৈরি হয়েছিল, তা কিছু ছাত্রসংগঠনের আধিপত্য নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, দখলদারি, ট্যাগিং ও দোষ চাপিয়ে দেওয়ার হীন সংস্কৃতি চালু রাখার ফলে নষ্ট হচ্ছে।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বন্ধুপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলকে তাদের পথ অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিবির সভাপতি।

খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিজেরা সন্ত্রাসী কায়দায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তার দায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যার প্রবক্তা ছিল নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ।

ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে ‘অন্যায়ভাবে দমনের চেষ্টার’ অভিযোগও তিনি ছাত্রদলের বিরুদ্ধে তোলেন। ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ‘শিবির কোবানো বা কোপানো জায়েজ আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে’ এমন বীভৎস ঘোষণা দিচ্ছে।

কুয়েটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে। খুলনার শিববাড়ীতে তাদের মিছিলে ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দেওয়া হয়। এমন ভয়ঙ্কর স্লোগান আমরা ছাত্রলীগের মুখে শুনতাম, ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি।

‘গণহত্যাকারী’ শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশেও ‘ফ্যাসিবাদের টুলসগুলো’ কিছু ছাত্রসংগঠন ঘোষণা দিয়ে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেন শিবির সভাপতি।

তিনি বলেন, অপরাধীদের হাত বদল হলেও অপরাধ আগের মতই চলছে। সারাদেশে শত শত জায়গায় চাঁদাবাজি, দখলদারি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কোনো পরিবর্তন হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারি যশোরের চাঁচড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় সম্রাট নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর চোখ উপড়ে ফেলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। গতকাল (শনিবার) গাজীপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা আদায় করার ঘটনা আপনারা দেখেছেন। প্রতিদিন এমন অসংখ্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখা দেওয়া হয় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে। জাহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কুয়েট, সিলেট এমসি কলেজ এবং তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় যে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তা একটি ছাত্রসংগঠনের নব্য ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার ধারাবাহিকতারই অংশ।

কুয়েটে সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রদল-যুবদলের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য দিবালোকে পরিকল্পিত সশস্ত্র হামলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়। ছাত্রদল তাদের উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দেয়। প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ‘শিবিরের ওপর দায় দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা’ প্রদান করে, যার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়ে যায়।