ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহে ‘ট্রিপল মার্ডার’ ঘিরে নানামুখী রহস্য

  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় গুলিতে চরমপন্থি নেতাসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার ঘিরে নানামুখী রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চরমপন্থি গ্রুপগুলোর দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে ক্ষুদেবার্তায় দায় স্বীকারের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া বাঁওড়, বিল ও জলমহাল দখল ও টেন্ডার কেন্দ্রীয় বিরোধ এবং সাম্প্রতিক টানাপড়েন এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান।

ওসি মাসুম খান বলেন, যেহেতু ঘটনাটি শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। সেহেতু কুষ্টিয়ার ইবি থানা ও শৈলকূপা থানা পুলিশ যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্ত করবে। মামলা দায়ের হয়নি। নিহত হানিফের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা রোববার বিকেল নাগাদ থানায় মামলা করার জন্য আসতে পারেন। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাসদ গণবাহিনীর দায় স্বীকার প্রসঙ্গে ওসি মাসুম খান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা মোবাইল ফোনে নামে বেনামে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে দায় স্বীকারের বিষয়টি চূড়ান্ত কোনো প্রমাণ নয়। আমরা এটিকে কেবল একটি উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

তিনি বলেন, অতীতেও এরকম দায় স্বীকারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তদন্তে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। অনেক সময় অপরাধীরা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এরকম কৌশল ব্যবহার করে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে তদন্ত ও অনুসন্ধান করবো। মামলা হওয়ার পরই গ্রেফতার অভিযান শুরু করবো।

ওসি মাসুম খান আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে বাঁওড় ও বিলের জলমহাল নিয়ে নিহত হানিফের সঙ্গে কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। এসব তথ্য স্থানীয় সাধারণ মানুষও জানে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার নাকি চরমপন্থি যোগসাজশ রয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত নই। তবে আমরা তদন্তের সময় সব বিষয় বিবেচনায় রাখবো।

গত শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় দিকে রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন- হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ (৫২), তার শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন (৩৭) ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রাইসুল ইসলাম (২৭)।

নিহতদের মধ্যে হানিফ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা ও একাধিক হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন। একটি হত্যা মামলায় তিনি ফাঁসির দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের পদ পান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় রামচন্দ্রপুর মাঠ দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডারের মতো ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে উগ্র বাম কমিউনিস্টদের ভোট দিতে দেওয়া হয় ২৯ মিলিয়ন ডলার

ঝিনাইদহে ‘ট্রিপল মার্ডার’ ঘিরে নানামুখী রহস্য

আপডেট সময় : ০৪:৩১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় গুলিতে চরমপন্থি নেতাসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার ঘিরে নানামুখী রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চরমপন্থি গ্রুপগুলোর দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে ক্ষুদেবার্তায় দায় স্বীকারের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া বাঁওড়, বিল ও জলমহাল দখল ও টেন্ডার কেন্দ্রীয় বিরোধ এবং সাম্প্রতিক টানাপড়েন এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান।

ওসি মাসুম খান বলেন, যেহেতু ঘটনাটি শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। সেহেতু কুষ্টিয়ার ইবি থানা ও শৈলকূপা থানা পুলিশ যৌথভাবে এ ঘটনার তদন্ত করবে। মামলা দায়ের হয়নি। নিহত হানিফের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা রোববার বিকেল নাগাদ থানায় মামলা করার জন্য আসতে পারেন। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাসদ গণবাহিনীর দায় স্বীকার প্রসঙ্গে ওসি মাসুম খান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা মোবাইল ফোনে নামে বেনামে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে দায় স্বীকারের বিষয়টি চূড়ান্ত কোনো প্রমাণ নয়। আমরা এটিকে কেবল একটি উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

তিনি বলেন, অতীতেও এরকম দায় স্বীকারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তদন্তে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। অনেক সময় অপরাধীরা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এরকম কৌশল ব্যবহার করে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে তদন্ত ও অনুসন্ধান করবো। মামলা হওয়ার পরই গ্রেফতার অভিযান শুরু করবো।

ওসি মাসুম খান আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে বাঁওড় ও বিলের জলমহাল নিয়ে নিহত হানিফের সঙ্গে কয়েকজনের বিরোধ চলছিল। এসব তথ্য স্থানীয় সাধারণ মানুষও জানে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার নাকি চরমপন্থি যোগসাজশ রয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত নই। তবে আমরা তদন্তের সময় সব বিষয় বিবেচনায় রাখবো।

গত শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় দিকে রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন- হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ (৫২), তার শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন (৩৭) ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রাইসুল ইসলাম (২৭)।

নিহতদের মধ্যে হানিফ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা ও একাধিক হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন। একটি হত্যা মামলায় তিনি ফাঁসির দণ্ড থেকে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি লাভ করেন। পরে তিনি হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের পদ পান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় রামচন্দ্রপুর মাঠ দুর্গম এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডারের মতো ঘটনা ঘটেছে।