ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

এবার আইসিটি খাত নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির উদ্যোগ

  • আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় অগ্রাধিকার পাওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ডিজিটালাইজেশন খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হবে, যারা আগামী দুই মাসের মধ্যে এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, আইসিটি ও ডিজিটালাইজেশনকে ঘিরে অনেকগুলো অনিয়ম ও দুনীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস চাচ্ছিলেন এই খাত নিয়ে একটি শ্বেতপত্র যাতে তৈরি করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এটি একটা সিদ্ধান্ত।

শ্বেতপত্র তৈরির জন্য দুই একদিনের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে দেশি বিদেশি অর্থনীতিবিদ যারা আইসিটি নিয়ে কাজ করেন সেসব বিশেষজ্ঞরা থাকবে।

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করা হয়।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার দেয় টানা ক্ষমতায় থাকা দলটি।

সে বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।

এই সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীত, অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের অর্থনীতির হালচাল জানতে একটি শ্বেতপত্র কমিটি করে। কমিটি গত ডিসেম্বরে সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এবার আইসিটি খাতের অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, কমিটির মূল কাজ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে যে ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে সেসব কীভাবে করেছে, কত টাকা পাচার হয়েছে, দেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই পুরো জিনিসগুলো তারা দেখবে।

তিনি বলেন, কমিটি দুই মাসের মধ্যে হোয়াইট পেপার প্রকাশ করবেন।

শফিকুল আলম বলেন, গত রেজিমের সময় যে পরিমাণ চুরি হয়েছে, করাপশন হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার কমিটি করে দিয়েছিলেন ড. দেবপ্রিয় নেতৃত্বে। তারা পুরো ইকোনোমিক সমস্ত খাতগুলোই দেখেছে। এই শ্বেতপত্র হবে পুরোপুরি আইসিটি খাতে, ডিজিটালাইজেশন খাতে। কীভাবে অনিয়ম হয়েছে, কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেছেন, শ্বেতপত্রে ওই সরকারের সময় সম্পাদিত সকল ধরনের চুক্তি এবং প্রকল্পের প্রস্তাব (ডিপিপি), সকল নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার আইসিটি খাত নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৯:০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময় অগ্রাধিকার পাওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ডিজিটালাইজেশন খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হবে, যারা আগামী দুই মাসের মধ্যে এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, আইসিটি ও ডিজিটালাইজেশনকে ঘিরে অনেকগুলো অনিয়ম ও দুনীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস চাচ্ছিলেন এই খাত নিয়ে একটি শ্বেতপত্র যাতে তৈরি করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এটি একটা সিদ্ধান্ত।

শ্বেতপত্র তৈরির জন্য দুই একদিনের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে দেশি বিদেশি অর্থনীতিবিদ যারা আইসিটি নিয়ে কাজ করেন সেসব বিশেষজ্ঞরা থাকবে।

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করা হয়।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার দেয় টানা ক্ষমতায় থাকা দলটি।

সে বছরের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের।

এই সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীত, অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের অর্থনীতির হালচাল জানতে একটি শ্বেতপত্র কমিটি করে। কমিটি গত ডিসেম্বরে সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এবার আইসিটি খাতের অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, কমিটির মূল কাজ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে যে ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে সেসব কীভাবে করেছে, কত টাকা পাচার হয়েছে, দেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই পুরো জিনিসগুলো তারা দেখবে।

তিনি বলেন, কমিটি দুই মাসের মধ্যে হোয়াইট পেপার প্রকাশ করবেন।

শফিকুল আলম বলেন, গত রেজিমের সময় যে পরিমাণ চুরি হয়েছে, করাপশন হয়েছে তার একটা হোয়াইট পেপার কমিটি করে দিয়েছিলেন ড. দেবপ্রিয় নেতৃত্বে। তারা পুরো ইকোনোমিক সমস্ত খাতগুলোই দেখেছে। এই শ্বেতপত্র হবে পুরোপুরি আইসিটি খাতে, ডিজিটালাইজেশন খাতে। কীভাবে অনিয়ম হয়েছে, কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেছেন, শ্বেতপত্রে ওই সরকারের সময় সম্পাদিত সকল ধরনের চুক্তি এবং প্রকল্পের প্রস্তাব (ডিপিপি), সকল নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।