বিদেশের খবর ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ‘‘প্রয়োজনে’’ আলোচনায় রাজি আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ অবসানে দরকার হলে এই আলোচনা হতে পারে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন। তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে আলোচনা করতে গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। বৈঠকের মাঝেই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট আলোচনা করতে রাজি আছেন বলে জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিন বলেছে, ‘‘রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে ‘প্রয়োজনে’ কথা বলতে প্রস্তুত আছেন।’’ তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্রেমলিন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, ‘‘পুতিন নিজেই বলেছেন যে, প্রয়োজনে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তবে চুক্তির আইনি ভিত্তি হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, এমন বাস্তবতা বিবেচনা করে আলোচনার প্রয়োজন আছে।’’ এদিকে, একই দিনে রিয়াদে শুরু হওয়া বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অব্সান ও আমেরিকান-রুশ সম্পর্ক পুর্নস্থাপনের বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ খুলে যেতে পারে। যুদ্ধ অবসানের বিষয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সপ্তাহে টেলিফোনে আলোচনার পর রিয়াদে এই বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। তবে বৈঠকে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি না রাখায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভকে ছাড়া কোনও শান্তিচুক্তি মানবে না ইউক্রেন। তিনি বলেছেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া আমরা এই ধরনের কোনও চুক্তি মেনে নেব না।
বৈঠকে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়োরি উশাকভ ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন। গত বুধবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে তারা আলোচনা শুরু করবেন। টেলিফোনে আলাপকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর এই দুই রাষ্ট্রনেতা মধ্যপ্রাচ্য সংকট, জ্বালানি, মার্কিন ডলার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন। সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।