ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

উপসচিবের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকার ধর্ষণ মামলা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকা মামলা করেছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। ওই ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বাদীর জবনাবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে সঞ্জয় চক্রবর্তীর পরিচয় হয়। প্রথমে ম্যাসেঞ্জারে, এরপর মোবাইলের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হতো। যোগাযোগের এক পর্যায়ে সম্পর্ক, এরপর সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সঞ্জয় চক্রবর্তী বাদীকে চাঁদপুর ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে বাদী রাজি হন। সঞ্জয় চক্রবর্তী লঞ্চের কেবিনে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এতে ভিকটিম অসম্মতি জানান। পরে বিয়ে করবেন জানালে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ওই বছরের ১ মে তারা লঞ্চে করে মুন্সীগঞ্জ যাওয়া ও আসার সময়ও তাদের মধ্যে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ২৬ মে সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে ফকিরাপুল একটি হোটেলে নিয়েও শারীরিক সম্পর্ক করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। জানা যায়, গত বছর ২২ ডিসেম্বর ভিকটিম সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন। বিবাহিত হওয়ায় প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভিকটিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। চাকরিচ্যুত এমনকি মিথ্যা মামলার হুমকিও দেওয়া হয় ভিকটিমকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শ্রীনগর থানা শিক্ষা অফিসার ভিকটিমকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ভিকটিম সঞ্জয় চক্রবর্তীকে গত ৮ জুন লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সঞ্জয় চক্রবর্তী নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো তাকে হুমকি দেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উপসচিবের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকার ধর্ষণ মামলা

আপডেট সময় : ১২:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকা মামলা করেছেন।
গতকাল বুধবার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। ওই ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী বাদীর জবনাবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে সঞ্জয় চক্রবর্তীর পরিচয় হয়। প্রথমে ম্যাসেঞ্জারে, এরপর মোবাইলের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হতো। যোগাযোগের এক পর্যায়ে সম্পর্ক, এরপর সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সঞ্জয় চক্রবর্তী বাদীকে চাঁদপুর ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে বাদী রাজি হন। সঞ্জয় চক্রবর্তী লঞ্চের কেবিনে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এতে ভিকটিম অসম্মতি জানান। পরে বিয়ে করবেন জানালে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ওই বছরের ১ মে তারা লঞ্চে করে মুন্সীগঞ্জ যাওয়া ও আসার সময়ও তাদের মধ্যে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ২৬ মে সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে ফকিরাপুল একটি হোটেলে নিয়েও শারীরিক সম্পর্ক করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। জানা যায়, গত বছর ২২ ডিসেম্বর ভিকটিম সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন। বিবাহিত হওয়ায় প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভিকটিমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। চাকরিচ্যুত এমনকি মিথ্যা মামলার হুমকিও দেওয়া হয় ভিকটিমকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শ্রীনগর থানা শিক্ষা অফিসার ভিকটিমকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ভিকটিম সঞ্জয় চক্রবর্তীকে গত ৮ জুন লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সঞ্জয় চক্রবর্তী নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো তাকে হুমকি দেন।