ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

১০০টার মধ্যে একটা সোনা চোরাচালান ধরতে পারছি: এনবিআর চেয়ারম্যান

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: সোনা চোরাচালান রোধে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটা দেশের মানুষের জন্য, কারও জন্য ভালো নয়। তাহলে এ খারাপ কাজটা আমরা কেন কন্টিনিউ করছি। যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা ধরতে পারি না, নানান কারণে। এজন্য সমস্যাগুলো শুনতে চাই।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যাগুলো কী আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমস্যাগুলো জেনে, সমস্যা দূর করতে চাই। এত এত সোনার বাজার অথচ সোনা আমদানি নেই কেন এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাব আমি খুঁজতে চাই। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এজন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এই চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রচুর খুন খারাবি হয়। সর্বশেষ বড় একটা সেনসেশনাল, মান্টিন্যাশনাল কিলিং দেখেছি। যার বডিও পাওয়া যায়নি।

বলা হয় উনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোনা আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে সোনা আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরও আমাদের সোনা আমদানি হয় না কেন? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে সোনা আসছে বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নেই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি অ্যালাউ করা হয়েছে, আমদানি নীতিমালা আছে। এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বাজুসের জেনারেল সেক্রেটারি বাদল চন্দ্র রয়, সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান ও মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাজুসের নেতারা জানান, চার বছর ধরে আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর ব্যবসায়ীরা আর্থিক কারণে আমদানি করতে পারেনি। এনবিআরের উচিত কর হার কমানো। এসময় তারা আমদানিতে শুল্ক কমানো, পদ্ধতি সহজ করার দাবি জানান। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনেক প্রবাসী সোনা নিয়ে আসেন। তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যাগেজ রুলসটার মিসইউজ করা হচ্ছে। আমরা ব্যাগেজ রুলসটা পরিবর্তন করবো। যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

১০০টার মধ্যে একটা সোনা চোরাচালান ধরতে পারছি: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: সোনা চোরাচালান রোধে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটা দেশের মানুষের জন্য, কারও জন্য ভালো নয়। তাহলে এ খারাপ কাজটা আমরা কেন কন্টিনিউ করছি। যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা ধরতে পারি না, নানান কারণে। এজন্য সমস্যাগুলো শুনতে চাই।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সমস্যাগুলো কী আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমস্যাগুলো জেনে, সমস্যা দূর করতে চাই। এত এত সোনার বাজার অথচ সোনা আমদানি নেই কেন এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাব আমি খুঁজতে চাই। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এজন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এই চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রচুর খুন খারাবি হয়। সর্বশেষ বড় একটা সেনসেশনাল, মান্টিন্যাশনাল কিলিং দেখেছি। যার বডিও পাওয়া যায়নি।

বলা হয় উনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সোনা আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে সোনা আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরও আমাদের সোনা আমদানি হয় না কেন? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে সোনা আসছে বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নেই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি অ্যালাউ করা হয়েছে, আমদানি নীতিমালা আছে। এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়া সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বাজুসের জেনারেল সেক্রেটারি বাদল চন্দ্র রয়, সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান ও মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাজুসের নেতারা জানান, চার বছর ধরে আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর ব্যবসায়ীরা আর্থিক কারণে আমদানি করতে পারেনি। এনবিআরের উচিত কর হার কমানো। এসময় তারা আমদানিতে শুল্ক কমানো, পদ্ধতি সহজ করার দাবি জানান। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনেক প্রবাসী সোনা নিয়ে আসেন। তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ব্যাগেজ রুলসটার মিসইউজ করা হচ্ছে। আমরা ব্যাগেজ রুলসটা পরিবর্তন করবো। যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারে।