ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

মাল্টা বাগানেও বাঁধাকপি চাষে সফল উদ্যোক্তা সজীব

  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: মাল্টা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে পরিত্যক্ত জায়গা। সেখানে হচ্ছে বাঁধাকপি চাষ। তা দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটছে। এর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে হচ্ছে বাড়তি আয়। মাল্টা বাগানেও দেখছেন সফলতার মুখ। বলছিলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীবের কথা। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে ছোটেননি। নিজের জমিতে গড়ে তোলেন মাল্টা বাগান। ওই বাগানে কাজ করছেন পাঁচজন শ্রমিক।

জানা গেছে, তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীবের বাগানে শোভা পাচ্ছে মাল্টা গাছ ও বাঁধাকপি। ২০২১ সালে ৮০ শতক জমিতে শুরু করেন মাল্টা বাগান। সেই মাল্টা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পরিত্যক্ত জায়গায় বাঁধাকপি চাষ শুরু করেন। এতে মাল্টা বাগানের কোনো ক্ষতি ছাড়াই বাম্পার ফলন হয় বাঁধাকপির। এতে বাড়তি আয় করেন তিনি।

মেরাজ হোসেন সজীব জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি মাল্টা বাগান, বাঁধাকপির চাষ এবং ৩ হাজার বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন। বাগান করে তিনি যেমন সফল; তেমনই তাকে দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে।

তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীব বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করি মাল্টা বাগান। মাল্টা বাগানের আগাছা পরিষ্কার করতেই অনেক খরচ হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানের ফাঁকে ফাঁকে শুরু করি বাঁধাকপি চাষ। আল্লাহর রহমতে বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়ির চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করছি। আগামীতে মাল্টা বাগানে ব্যতিক্রমী সবজি চাষ করবো। প্রায় ৭ হাজার বস্তা আদা চাষ করার পরিকল্পনা আছে।’

বাগানের শ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ‘মাল্টা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। বাঁধাকপি বিক্রি করে আমাদের শ্রমের টাকা দিচ্ছেন ভাতিজা সজীব। আমরাও বাঁধাকপি নিয়ে যাচ্ছি বাড়িতে।’

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাগানটি দেখে অনেক ভালো লাগছে। এক জমিতে পরিত্যক্ত জায়গায় দুই ফসল ব্যতিক্রম উদ্যোগ। সব কৃষক বাগানটি দেখে এক জমিতে দুই ফসল করতে পারেন। এতে কৃষকের বাড়তি আয় হবে।’
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় কৃষকেরা এবার সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ করেন। বাজারে প্রচুর সবজি ওঠায় দাম কমে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এক জমিতে দুই ও তিন ফসল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একজন তরুণ উদ্যোক্তা মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় বাঁধাকপি চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। একই সঙ্গে মাল্টা গাছের পরিচর্যা করছেন। এটি একটি দৃষ্টান্ত।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ঐশ্বরিয়া-ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারণ জানালেন সালমান খান

মাল্টা বাগানেও বাঁধাকপি চাষে সফল উদ্যোক্তা সজীব

আপডেট সময় : ০৫:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: মাল্টা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে পরিত্যক্ত জায়গা। সেখানে হচ্ছে বাঁধাকপি চাষ। তা দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটছে। এর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে হচ্ছে বাড়তি আয়। মাল্টা বাগানেও দেখছেন সফলতার মুখ। বলছিলাম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীবের কথা। পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পেছনে ছোটেননি। নিজের জমিতে গড়ে তোলেন মাল্টা বাগান। ওই বাগানে কাজ করছেন পাঁচজন শ্রমিক।

জানা গেছে, তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীবের বাগানে শোভা পাচ্ছে মাল্টা গাছ ও বাঁধাকপি। ২০২১ সালে ৮০ শতক জমিতে শুরু করেন মাল্টা বাগান। সেই মাল্টা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পরিত্যক্ত জায়গায় বাঁধাকপি চাষ শুরু করেন। এতে মাল্টা বাগানের কোনো ক্ষতি ছাড়াই বাম্পার ফলন হয় বাঁধাকপির। এতে বাড়তি আয় করেন তিনি।

মেরাজ হোসেন সজীব জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি মাল্টা বাগান, বাঁধাকপির চাষ এবং ৩ হাজার বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন। বাগান করে তিনি যেমন সফল; তেমনই তাকে দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে বাগান করার আগ্রহ বেড়েছে।

তরুণ উদ্যোক্তা মেরাজ হাসান সজীব বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করি মাল্টা বাগান। মাল্টা বাগানের আগাছা পরিষ্কার করতেই অনেক খরচ হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বাগানের ফাঁকে ফাঁকে শুরু করি বাঁধাকপি চাষ। আল্লাহর রহমতে বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়ির চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করছি। আগামীতে মাল্টা বাগানে ব্যতিক্রমী সবজি চাষ করবো। প্রায় ৭ হাজার বস্তা আদা চাষ করার পরিকল্পনা আছে।’

বাগানের শ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ‘মাল্টা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। বাঁধাকপি বিক্রি করে আমাদের শ্রমের টাকা দিচ্ছেন ভাতিজা সজীব। আমরাও বাঁধাকপি নিয়ে যাচ্ছি বাড়িতে।’

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাগানটি দেখে অনেক ভালো লাগছে। এক জমিতে পরিত্যক্ত জায়গায় দুই ফসল ব্যতিক্রম উদ্যোগ। সব কৃষক বাগানটি দেখে এক জমিতে দুই ফসল করতে পারেন। এতে কৃষকের বাড়তি আয় হবে।’
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় কৃষকেরা এবার সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ করেন। বাজারে প্রচুর সবজি ওঠায় দাম কমে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এক জমিতে দুই ও তিন ফসল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একজন তরুণ উদ্যোক্তা মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় বাঁধাকপি চাষ করে বাড়তি আয় করছেন। একই সঙ্গে মাল্টা গাছের পরিচর্যা করছেন। এটি একটি দৃষ্টান্ত।’