ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

যিনি দেশ বাঁচান, তিনি কোনো আইন ভাঙেন না: ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: একাধিক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা খর্বের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পোস্ট করেছেন, তাতে ফ্রান্সের নেপোলিয়ন বোনাপোর্টের কথার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে।

‘যিনি দেশ বাঁচান, তিনি কোনো আইন ভাঙেন না,’ দেশ রক্ষায় কখনো কখনো কোনো পদক্ষেপ আইনের ঊর্ধ্বে চলে যায়- এমন ইঙ্গিত দিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এই মন্তব্য করেন রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট।

তার পোস্টের এ বাক্যটি মূলত নেপোলিয়নের কাছ থেকে ধার করা, বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নিজেকে সম্রাট ঘোষণার আগে আগে ১৮০৪ সালে ফরাসী সমরনেতা নেপোলিয়ন তার নামে নেপোলিয়নিক আইনকানুনের প্রবর্তন করেছিলেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।

একজন সত্যিকারের স্বৈরশাসকের মতো কথা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সেনেটর অ্যাডাম শিফ।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়া ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তার নির্বাহী ক্ষমতার বিস্তৃত প্রয়োগ করে যাচ্ছেন, যার বিরুদ্ধে অনেকেই আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। এসব লড়াই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টেই মীমাংসিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে কিছু কিছু মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসকে সংবিধান যে কর্তৃত্ব দিয়েছে, তা হরণ করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্রাম্প যদিও আদালতের রায় মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, তার উপদেষ্টাদের দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারকদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে। এদের কেউ কেউ আবার বিচারকদের অভিশংসনের দাবিও তুলেছেন।

কয়েকদিন আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, নির্বাহী বিভাগের আইনসম্মত যে ক্ষমতা, তাকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই বিচারকদের।

ট্রাম্পকে তার প্রথম মেয়াদে দুইবার অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম দফা অভিশংসনে শিফের পাশাপাশি কাজ করেছিলেন ওয়াশিংটনের আইনজীবী নর্ম আইজেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীরা এখন বারবার যে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা হল- যদি প্রেসিডেন্ট এটা করে থাকেন, তাহলে তা বিধিবহির্ভূত নয়। বেআইনি পদক্ষেপগুলোকে দায়মুক্তি দিতে নেপোলিয়ন এমনটা বলতেন, বলেছেন আইজেন। এর মাধ্যমে অন্যরা কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং উসকানি দেওয়া হচ্ছে, ট্রাম্পের বার্তা নিয়ে বলেন এই আইনজীবী।

দীর্ঘদিন ধরে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন’ স্লোগান দেওয়া ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। সেই যাত্রায় বেঁচে যাওয়াকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ হিসেবে দেখেন এই রিপাবলিকান।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, অনেকেই আমাকে বলেছেন, ঈশ্বর একটি কারণেই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন, তা হলো- আমাদের দেশকে বাঁচানো এবং আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

যিনি দেশ বাঁচান, তিনি কোনো আইন ভাঙেন না: ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: একাধিক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতা খর্বের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পোস্ট করেছেন, তাতে ফ্রান্সের নেপোলিয়ন বোনাপোর্টের কথার প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে।

‘যিনি দেশ বাঁচান, তিনি কোনো আইন ভাঙেন না,’ দেশ রক্ষায় কখনো কখনো কোনো পদক্ষেপ আইনের ঊর্ধ্বে চলে যায়- এমন ইঙ্গিত দিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজের ট্রুথ সোশ্যালে এই মন্তব্য করেন রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট।

তার পোস্টের এ বাক্যটি মূলত নেপোলিয়নের কাছ থেকে ধার করা, বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নিজেকে সম্রাট ঘোষণার আগে আগে ১৮০৪ সালে ফরাসী সমরনেতা নেপোলিয়ন তার নামে নেপোলিয়নিক আইনকানুনের প্রবর্তন করেছিলেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।

একজন সত্যিকারের স্বৈরশাসকের মতো কথা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সেনেটর অ্যাডাম শিফ।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়া ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তার নির্বাহী ক্ষমতার বিস্তৃত প্রয়োগ করে যাচ্ছেন, যার বিরুদ্ধে অনেকেই আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। এসব লড়াই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টেই মীমাংসিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে কিছু কিছু মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসকে সংবিধান যে কর্তৃত্ব দিয়েছে, তা হরণ করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্রাম্প যদিও আদালতের রায় মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, তার উপদেষ্টাদের দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারকদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে। এদের কেউ কেউ আবার বিচারকদের অভিশংসনের দাবিও তুলেছেন।

কয়েকদিন আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, নির্বাহী বিভাগের আইনসম্মত যে ক্ষমতা, তাকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই বিচারকদের।

ট্রাম্পকে তার প্রথম মেয়াদে দুইবার অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথম দফা অভিশংসনে শিফের পাশাপাশি কাজ করেছিলেন ওয়াশিংটনের আইনজীবী নর্ম আইজেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীরা এখন বারবার যে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা হল- যদি প্রেসিডেন্ট এটা করে থাকেন, তাহলে তা বিধিবহির্ভূত নয়। বেআইনি পদক্ষেপগুলোকে দায়মুক্তি দিতে নেপোলিয়ন এমনটা বলতেন, বলেছেন আইজেন। এর মাধ্যমে অন্যরা কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং উসকানি দেওয়া হচ্ছে, ট্রাম্পের বার্তা নিয়ে বলেন এই আইনজীবী।

দীর্ঘদিন ধরে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন’ স্লোগান দেওয়া ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে। সেই যাত্রায় বেঁচে যাওয়াকে ‘ঈশ্বরের ইচ্ছা’ হিসেবে দেখেন এই রিপাবলিকান।

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, অনেকেই আমাকে বলেছেন, ঈশ্বর একটি কারণেই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন, তা হলো- আমাদের দেশকে বাঁচানো এবং আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।