ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রয়াত তারকা ফুটবলার বাদল রায়ের পরিববারসহ অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেই বরাদ্দকৃত সহায়তা সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
বুধবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রদেয় আর্থিক সহায়তার এক কোটি দশ লক্ষ টাকার চেক ও সঞ্চয়পত্র এবং ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
বাদল রায়ের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা ও একটি ফ্ল্যাট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। টাকার চেক ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া ক্রীড়া সংগঠক সাব্বির হোসেনকে ৫ লাখ, সাবেক ফুটবলার শহিদ উদ্দিন সেলিমকে ১০ লাখ, সুভাস সাহাকে ৩০ লাখ, তন্দ্রিমা শিকদারকে ১০ লাখ, সাইফুল ইসলাম ভোলাকে ৫ লাখ, আকরাম হোসেন সরকারকে ১০ লাখ ও আমিনুল ইসলাম সবুজকে ২৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা একজন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। আমার জানা নেই, বিশ্বের আর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো এতটা ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ কি না। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন। ফুটবল, ক্রিকেট, আরচারি, শুটিং, হকি, দাবা, সুইমিংসহ সকল খেলায় আমাদের খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক সাফল্য নিয়ে আসছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুখে দুঃখে সবসময় আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে থাকেন। স্পোর্টসের উন্নয়নে, যে কোনো ক্রীড়াবিদ বা ক্রীড়া সংগঠকের যে কোনো সমস্যায় তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আজকের এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত এক কোটি দশ লক্ষ টাকার চেক, সঞ্চয়পত্র ও ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র বিতরণ করছি। ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মোঃ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
লুকাকুর গোলে জয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন চেলসির
ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথমার্ধে বিবর্ণ চেলসি জেগে উঠল বিরতির পর। জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করল টমাস টুখেলের দল।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে চেলসি। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দ্বিতীয় মেয়াদে দলটিতে ফেরা রোমেলু লুকাকু।
ম্যাচে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে ১১টি শট নেয় চেলসি, যার দুটি লক্ষ্যে। জেনিতের ৬ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি চেলসি। এই সময়ে তাদের একটি শটও ছিল না লক্ষ্যে। ২৩তম মিনিটে কয়েক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন লুকাকু, কিন্তু শট নিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাকিম জিয়াশের নেওয়া শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। একটু পর নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের বাধা এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আন্টোনিও রুডিগার। কিন্তু এই ডিফেন্ডারের জোরালো শট লক্ষ্যে থাকেনি।
অবশেষে ৬৯তম মিনিটে মেলে গোলের দেখা। সেসার আসপিলিকুয়েতার ক্রসে ডি-বক্সে লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন লুকাকু। দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই তার প্রথম গোল।
দুই মিনিট পর দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্কোস আলোনসোর শট সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
পরের মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ একটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। সতীর্থের বাড়ানো বলে ছয় গজ বক্সে ডাইভ দিয়ে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেননি আর্তেম জুবা। যোগ করা সময়ে লুকাকুর প্রচেষ্টা প্রতিহত হলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে মালমোকে ৩-০ গোলে হারায় ইউভেন্তুস। একটি করে গোল করেন আলেক্স সান্দ্রো, পাওলো দিবালা, আলভারো মোরাতা।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অর্থ ও ফ্ল্যাট বুঝে পেলেন ক্রীড়াবিদরা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ