ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

৬০ বলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইয়ে ওমানের ব্যাটসম্যান

  • আপডেট সময় : ১২:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ১১ ওয়ানডে খেলে সর্বোচ্চ রান ৬২। ফিফটি ওই একটিই। এমন সাদামাটা পারফরম্যান্সের ব্যাটসম্যান এবার নিজেকে চেনালেন নতুন করে। বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ওমানের ওপেনার জাতিন্দার সিং উপহার দিলেন রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ টু-এর ম্যাচে মঙ্গলবার নেপালের বিপক্ষে মাস্কাটে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেন জাতিন্দার।
লিগ টু ও ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। আইসিসি সহযোগী দেশগুলির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও এটিই।
সহযোগী দেশ থাকা অবস্থার দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্য আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েনের। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পথে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে আয়ারল্যান্ড এখন পূর্ণ সদস্য দেশ।
এখনকার সহযোগী দেশগুলির মধ্যে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড আগের ছিল কানাডার জন ডেভিসনের।
২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওই বিশ্বকাপের চমক ডেভিসন।
ডেভিসনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে জাতিন্দারের ঝড় শুরু হয় প্রথম ওভার থেকেই। নেপালকে ১৯৬ রানে আটকে রেখে শুরু হয় ওমানের রান তাড়া। সোমপাল কামির প্রথম ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে জাতিন্দারের শুরু। পরের ওভারে তিনি চার-ছক্কা মারেন বিক্রম সবকে।
পঞ্চম ওভারে কামিকে তুলাধুনা করেন জাতিন্দার তিনটি করে চার ও ছক্কায় ওভারে ৩০ রান নিয়ে। পরে কারান কেসির বলে দুটি বাউন্ডারিতে ফিফটি স্পর্শ করেন কেবল ২১ বলেই।
সহযোগী দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ওয়ানডে ফিফটির রেকর্ড ছুঁতে পারেননি তিনি অল্পের জন্য। ২০ বলের ফিফটিতে রেকর্ডটি স্কটল্যান্ডের রিচি বেরিংটনের।
ফিফটির পরও ছুটতে থাকেন তিনি ঝড়ের বেগে। কারানের এক ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় নেন ২০ রান। ছক্কায় ওড়ান সুশান ভারিকে।
৯০ রান হয়ে যায় তার কেবল ৪০ বলেই। শতরানের কাছাকাছি বলেই হয়তো, এরপর অনেক সাবধানে এগোতে থাকেন। পরের ১০ রান করতে লেগে যায় ২০ বল।
৯৯ থেকে অবশেষে কুশাল মাল্লার বলে বাউন্ডারিতে পা রাখেন তিনি সেঞ্চুরিতে। শতরানের পরের বলে আরেকটি বাউন্ডারি মেরে আউট হয়ে যান এর পরের বলেই।
১২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬২ বলে ১০৭ রানে থামে তার ইনিংস। ওমান ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ১১৩ বল বাকি রেখে।
জাতিন্দার ও ওমানের কাজ অবশ্য কিছুটা সহজ হয় নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানে চোট পেয়ে বল করতে না পারায়।
নাম থেকেই অনেকটা স্পষ্ট, জাতিন্দার সিংয়ের শেকড় ভারতে। ১৯৮৯ সালে তার জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। তবে বেড়ে ওঠা ওমানেই। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে শুরু করে সব পর্যায়েই খেলেছেন তিনি ওমানের হয়েই।
২০১৯ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া ওমানের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। গত বছর পরপর দুই ম্যাচে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেনে আকিব ইলিয়াস। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদও। এবার করলেন জাতিন্দার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬০ বলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইয়ে ওমানের ব্যাটসম্যান

আপডেট সময় : ১২:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : ১১ ওয়ানডে খেলে সর্বোচ্চ রান ৬২। ফিফটি ওই একটিই। এমন সাদামাটা পারফরম্যান্সের ব্যাটসম্যান এবার নিজেকে চেনালেন নতুন করে। বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ওমানের ওপেনার জাতিন্দার সিং উপহার দিলেন রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি।
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ টু-এর ম্যাচে মঙ্গলবার নেপালের বিপক্ষে মাস্কাটে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেন জাতিন্দার।
লিগ টু ও ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ মিলিয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। আইসিসি সহযোগী দেশগুলির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডও এটিই।
সহযোগী দেশ থাকা অবস্থার দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড অবশ্য আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েনের। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পথে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে আয়ারল্যান্ড এখন পূর্ণ সদস্য দেশ।
এখনকার সহযোগী দেশগুলির মধ্যে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড আগের ছিল কানাডার জন ডেভিসনের।
২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওই বিশ্বকাপের চমক ডেভিসন।
ডেভিসনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে জাতিন্দারের ঝড় শুরু হয় প্রথম ওভার থেকেই। নেপালকে ১৯৬ রানে আটকে রেখে শুরু হয় ওমানের রান তাড়া। সোমপাল কামির প্রথম ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে জাতিন্দারের শুরু। পরের ওভারে তিনি চার-ছক্কা মারেন বিক্রম সবকে।
পঞ্চম ওভারে কামিকে তুলাধুনা করেন জাতিন্দার তিনটি করে চার ও ছক্কায় ওভারে ৩০ রান নিয়ে। পরে কারান কেসির বলে দুটি বাউন্ডারিতে ফিফটি স্পর্শ করেন কেবল ২১ বলেই।
সহযোগী দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ওয়ানডে ফিফটির রেকর্ড ছুঁতে পারেননি তিনি অল্পের জন্য। ২০ বলের ফিফটিতে রেকর্ডটি স্কটল্যান্ডের রিচি বেরিংটনের।
ফিফটির পরও ছুটতে থাকেন তিনি ঝড়ের বেগে। কারানের এক ওভারে তিন চার ও এক ছক্কায় নেন ২০ রান। ছক্কায় ওড়ান সুশান ভারিকে।
৯০ রান হয়ে যায় তার কেবল ৪০ বলেই। শতরানের কাছাকাছি বলেই হয়তো, এরপর অনেক সাবধানে এগোতে থাকেন। পরের ১০ রান করতে লেগে যায় ২০ বল।
৯৯ থেকে অবশেষে কুশাল মাল্লার বলে বাউন্ডারিতে পা রাখেন তিনি সেঞ্চুরিতে। শতরানের পরের বলে আরেকটি বাউন্ডারি মেরে আউট হয়ে যান এর পরের বলেই।
১২ চার ও ৬ ছক্কায় ৬২ বলে ১০৭ রানে থামে তার ইনিংস। ওমান ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ১১৩ বল বাকি রেখে।
জাতিন্দার ও ওমানের কাজ অবশ্য কিছুটা সহজ হয় নেপালের তারকা লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানে চোট পেয়ে বল করতে না পারায়।
নাম থেকেই অনেকটা স্পষ্ট, জাতিন্দার সিংয়ের শেকড় ভারতে। ১৯৮৯ সালে তার জন্ম পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। তবে বেড়ে ওঠা ওমানেই। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে শুরু করে সব পর্যায়েই খেলেছেন তিনি ওমানের হয়েই।
২০১৯ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া ওমানের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। গত বছর পরপর দুই ম্যাচে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেনে আকিব ইলিয়াস। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদও। এবার করলেন জাতিন্দার।