নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি এলাকার আম গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। শীত যেতে না যেতেই আমের মুকুল জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। বর্তমানে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত আত্রাই উপজেলার প্রতিটি এলাকা। এ বছর কৃষিবিদ ও আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৮আমের ভালো ফলন হবে। আমচাষি ও বাগান মালিকেরা বাগান পরিচর্যা করছেন।
অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই গাছ পরিচর্যা করছেন তারা। গাছে গাছে বালাইনাশক স্প্রে করার দৃশ্য চোখে পড়ছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা, প্রাথমিকভাবে এবছর ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলায় প্রায় ১২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। বাগানে আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, মোহনা, ল্যাংড়া, রাজভোগ, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও ছোট ছোট পরিত্যক্ত এবং বাড়ির আশপাশের জায়গাগুলোতে অনেক গাছ রয়েছে।
ইতোমধ্যেই বেশ কিছু গাছে মুকুল আসতে শুরুও করেছে। ফাল্গুন মাসের ১ম সপ্তাহ নাগাদ মুকুলে ছেঁয়ে যাবে প্রতিটি আম গাছ। এ উপজেলার উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা পূরণের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের সফল আমচাষি মো. মজিদ মণ্ডল বলেন, ‘পুরোপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল আসবে। আমি এই আম বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করেছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যে আমচাষিদের আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হওয়ার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফল চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে আশা করছেন তিনি।