নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে আয়নাঘরের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০–এর মতো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও, উত্তরায় তিনটি গোপন বন্দিশালা (আয়নাঘর) পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধানসহ পাঁচজন ও বিভিন্ন সময় গুমের শিকার আটজন। যে তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি র্যাবের এবং আরেকটি ডিজিএফআইয়ের। পরিদর্শনের সময় কয়েকজন সাংবাদিকও ছিলেন। শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে যত আয়নাঘর আছে সবগুলো খুঁজে বের করা হবে। গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আমরা জেনেছি এটার সংখ্যা ৭০০-৮০০টি।
এগুলো শুধু ঢাকায় নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আয়নাঘর ছিল। তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে, গুম-খুনের পেছনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিল। প্রেস সচিব বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড এবং গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।