ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

স্ত্রীকে নিয়েই সমস্যায় প্রিন্স হ্যারি, তাকে তাড়াবেন না ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর অভিযানে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর বলি হতে হচ্ছে না দেশটিতে স্বেচ্ছা নির্বাসিত ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারিকে।

‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ পত্রিকাকে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া না করারই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ট্রাম্প।

এর কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেছেন, আমি প্রিন্স হ্যারিকে তাড়াতে চাই না। তাকে আমি ছেড়ে দেব। তিনি (হ্যারি) এমনিতেই নিজের স্ত্রীকে (মেগান মার্কল) নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় আছেন। আর সমস্যা বাড়াতে চাই না। তার স্ত্রী ভয়ঙ্কর।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার পরই ট্রাম্প পূর্ব ঘোষণামতো দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ভারতের ১০৪ জন নাগরিকসহ মেক্সিকো এবং ব্রাজিলেও বেশ কিছু অবৈধ অভিবাসী পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এর অন্যতম কারণ ভিসা সমস্যা। ভিসা নিয়ে একই সমস্যায় আছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারিও। ২০২০ সালে হ্যারি এবং মেগান মার্কল ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ক্যালিফর্নিয়ায় থাকতে শুরু করেন তারা। পরে হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হ্যারির ভিসা নিয়ে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অভিযোগ রয়েছে। ভিসার আবেদন করার সময় হ্যারি অতীতের মাদক সেবনের কথা চেপে গিয়েছিলেন অভিযোগ আছে।

হ্যারি ভিসার আবেদনে অতীতে মাদক সেবনের বিষয়টি গোপন করলেও পরে বিতর্ক দানা বাঁধে তার আত্মজীবনী প্রকাশের পর। সেখানে মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করেছিলেন হ্যারি।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কারণে হ্যারির অভিবাসনের বিষয়টিও ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনি ব্যবস্থার মুখে রয়েছে। তার ভিসা বাতিলের আর্জিও জানানো হয়েছিল।

ট্রাম্প এ বিতর্কে আগে মুখ খুলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে হ্যারিকে মিথ্যা বলার সাজা দেবেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর উল্টো-বাঁক নিলেন তিনি।

‘হ্যারিকে তাড়ানোর ইচ্ছা নেই’ বলে জানানোর পাশাপাশি হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন ট্রাম্প। তাকে ‘গ্রেট ইয়ং ম্যান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

আর হ্যারির পাশে দাঁড়িয়েও তার স্ত্রীকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে ট্রাম্প যে কটাক্ষ করেছেন, তারও একটি কারণ আছে। সেটি হল, বছরের পর বছর ধরে হ্যারি ও তার আমেরিকান স্ত্রী মেগান মার্কলের ট্রাম্প-বিরোধী অবস্থান।

একবার ট্রাম্পকে একহাত নিয়ে তাকে ‘বিভেদকামী’ ও ‘নারীবিদ্বষী’ বলে সরব হয়েছিলেন মেগান মার্কল। সেই গায়ের ঝালই যেন আজ মার্কলকে কটাক্ষ করে মেটালেন ট্রাম্প।

আর হ্যারি সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্য, “আমি মনে করি বেচারা হ্যারিকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানো হচ্ছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন কিনা তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর

স্ত্রীকে নিয়েই সমস্যায় প্রিন্স হ্যারি, তাকে তাড়াবেন না ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর অভিযানে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর বলি হতে হচ্ছে না দেশটিতে স্বেচ্ছা নির্বাসিত ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারিকে।

‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ পত্রিকাকে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হ্যারিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া না করারই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ট্রাম্প।

এর কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেছেন, আমি প্রিন্স হ্যারিকে তাড়াতে চাই না। তাকে আমি ছেড়ে দেব। তিনি (হ্যারি) এমনিতেই নিজের স্ত্রীকে (মেগান মার্কল) নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় আছেন। আর সমস্যা বাড়াতে চাই না। তার স্ত্রী ভয়ঙ্কর।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার পরই ট্রাম্প পূর্ব ঘোষণামতো দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ভারতের ১০৪ জন নাগরিকসহ মেক্সিকো এবং ব্রাজিলেও বেশ কিছু অবৈধ অভিবাসী পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এর অন্যতম কারণ ভিসা সমস্যা। ভিসা নিয়ে একই সমস্যায় আছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারিও। ২০২০ সালে হ্যারি এবং মেগান মার্কল ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ক্যালিফর্নিয়ায় থাকতে শুরু করেন তারা। পরে হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হ্যারির ভিসা নিয়ে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের অভিযোগ রয়েছে। ভিসার আবেদন করার সময় হ্যারি অতীতের মাদক সেবনের কথা চেপে গিয়েছিলেন অভিযোগ আছে।

হ্যারি ভিসার আবেদনে অতীতে মাদক সেবনের বিষয়টি গোপন করলেও পরে বিতর্ক দানা বাঁধে তার আত্মজীবনী প্রকাশের পর। সেখানে মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করেছিলেন হ্যারি।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কারণে হ্যারির অভিবাসনের বিষয়টিও ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনি ব্যবস্থার মুখে রয়েছে। তার ভিসা বাতিলের আর্জিও জানানো হয়েছিল।

ট্রাম্প এ বিতর্কে আগে মুখ খুলেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে হ্যারিকে মিথ্যা বলার সাজা দেবেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর উল্টো-বাঁক নিলেন তিনি।

‘হ্যারিকে তাড়ানোর ইচ্ছা নেই’ বলে জানানোর পাশাপাশি হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন ট্রাম্প। তাকে ‘গ্রেট ইয়ং ম্যান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

আর হ্যারির পাশে দাঁড়িয়েও তার স্ত্রীকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে ট্রাম্প যে কটাক্ষ করেছেন, তারও একটি কারণ আছে। সেটি হল, বছরের পর বছর ধরে হ্যারি ও তার আমেরিকান স্ত্রী মেগান মার্কলের ট্রাম্প-বিরোধী অবস্থান।

একবার ট্রাম্পকে একহাত নিয়ে তাকে ‘বিভেদকামী’ ও ‘নারীবিদ্বষী’ বলে সরব হয়েছিলেন মেগান মার্কল। সেই গায়ের ঝালই যেন আজ মার্কলকে কটাক্ষ করে মেটালেন ট্রাম্প।

আর হ্যারি সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্য, “আমি মনে করি বেচারা হ্যারিকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানো হচ্ছে।”