ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

হ্যাকিং ঠেকাতে বিজ্ঞানীদের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন

  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ডিজিটাল দুনিয়ায় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুরক্ষিত রাখা এক বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। তাই আমাদের তথ্য রক্ষা করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। এখন বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন এনক্রিপশন পদ্ধতি তৈরি করেছেন; যা হ্যাকিং বা ডেটা চুরি প্রায় অসম্ভব করে তোলে।

এই পদ্ধতির মূল ভিত্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও হোলোগ্রাফি; যা একসঙ্গে কাজ করে তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে। এই পদ্ধতিতে ডেটা প্রথমে জটিল হোলোগ্রাফিক প্যাটার্নে রূপান্তরিত হয়। এটি এমন এক ধরনের ছবি বা গঠন; যা চোখে দেখলে কিছু বোঝা যায় না। এই হোলোগ্রামগুলো খুবই জটিল এবং বিশেষ একটি এআই মডেল ছাড়া তা বুঝে বের করা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চিত করে যে, যদি কোনো হ্যাকার এই তথ্য পেয়েও ফেলে, তারা কিছুই জানতে পারবে না যতক্ষণ না তারা সেই এআই মডেলটি পায়।
এআই কীভাবে কাজ করে: যখন হোলোগ্রাফিক প্যাটার্ন তৈরি করা হয়, তখন এটি সিস্টেমের এআই মডেলকে ‘প্রশিক্ষিত’ করা হয়; যাতে এটি এই জটিল প্যাটার্ন থেকে আসল তথ্য বের করতে পারে। এআই মডেলটি সঠিকভাবে তথ্য পুনরুদ্ধার করতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য বা হ্যাকারদের জন্য এটি সম্ভব নয়।

এটি এমন একটি স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, যেখানে ম্যানুয়াল বা প্রথাগত পদ্ধতিতে ডেটা ডিক্রিপ্ট করা যায় না। এছাড়া এই পদ্ধতি শুধু সুরক্ষিত তথ্য রক্ষা করে না, বরং সাইবার আক্রমণকারীদের জন্য একটি শক্তিশালী বাধা তৈরি করে। যেমন ধরুন, ব্যাংক বা হাসপাতালের গোপন তথ্য, অথবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা—এই ধরনের তথ্য হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এর ফলে, ভবিষ্যতে ডিজিটাল লেনদেন, চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে তথ্যের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে। এটা শুধু নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে না, এই প্রযুক্তি একটি নতুন যুগের সূচনা করছে যেখানে তথ্য চুরি বা হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকবে। এছাড়া প্রযুক্তির এই উন্নতির ফলে সাইবার আক্রমণকারীরা এভাবে সুরক্ষিত তথ্য ভেঙে ফেলতে পারবে না; যা তাদের জন্য এক বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

আজকের পৃথিবীতে যখন সাইবার অপরাধ ব্যাপক হারে বাড়ছে, তখন এই প্রযুক্তি আমাদের তথ্য রক্ষা করতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এটি প্রমাণ করে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং হোলোগ্রাফি মিলিয়ে এক শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব; যা ভবিষ্যতে আমাদের ডেটা সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হ্যাকিং ঠেকাতে বিজ্ঞানীদের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ডিজিটাল দুনিয়ায় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুরক্ষিত রাখা এক বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। তাই আমাদের তথ্য রক্ষা করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। এখন বিজ্ঞানীরা এমন একটি নতুন এনক্রিপশন পদ্ধতি তৈরি করেছেন; যা হ্যাকিং বা ডেটা চুরি প্রায় অসম্ভব করে তোলে।

এই পদ্ধতির মূল ভিত্তি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও হোলোগ্রাফি; যা একসঙ্গে কাজ করে তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে। এই পদ্ধতিতে ডেটা প্রথমে জটিল হোলোগ্রাফিক প্যাটার্নে রূপান্তরিত হয়। এটি এমন এক ধরনের ছবি বা গঠন; যা চোখে দেখলে কিছু বোঝা যায় না। এই হোলোগ্রামগুলো খুবই জটিল এবং বিশেষ একটি এআই মডেল ছাড়া তা বুঝে বের করা সম্ভব নয়। এটি নিশ্চিত করে যে, যদি কোনো হ্যাকার এই তথ্য পেয়েও ফেলে, তারা কিছুই জানতে পারবে না যতক্ষণ না তারা সেই এআই মডেলটি পায়।
এআই কীভাবে কাজ করে: যখন হোলোগ্রাফিক প্যাটার্ন তৈরি করা হয়, তখন এটি সিস্টেমের এআই মডেলকে ‘প্রশিক্ষিত’ করা হয়; যাতে এটি এই জটিল প্যাটার্ন থেকে আসল তথ্য বের করতে পারে। এআই মডেলটি সঠিকভাবে তথ্য পুনরুদ্ধার করতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য বা হ্যাকারদের জন্য এটি সম্ভব নয়।

এটি এমন একটি স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, যেখানে ম্যানুয়াল বা প্রথাগত পদ্ধতিতে ডেটা ডিক্রিপ্ট করা যায় না। এছাড়া এই পদ্ধতি শুধু সুরক্ষিত তথ্য রক্ষা করে না, বরং সাইবার আক্রমণকারীদের জন্য একটি শক্তিশালী বাধা তৈরি করে। যেমন ধরুন, ব্যাংক বা হাসপাতালের গোপন তথ্য, অথবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা—এই ধরনের তথ্য হ্যাকারের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এর ফলে, ভবিষ্যতে ডিজিটাল লেনদেন, চিকিৎসা, শিক্ষা, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে তথ্যের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত হবে। এটা শুধু নিরাপত্তা বৃদ্ধি করছে না, এই প্রযুক্তি একটি নতুন যুগের সূচনা করছে যেখানে তথ্য চুরি বা হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকবে। এছাড়া প্রযুক্তির এই উন্নতির ফলে সাইবার আক্রমণকারীরা এভাবে সুরক্ষিত তথ্য ভেঙে ফেলতে পারবে না; যা তাদের জন্য এক বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

আজকের পৃথিবীতে যখন সাইবার অপরাধ ব্যাপক হারে বাড়ছে, তখন এই প্রযুক্তি আমাদের তথ্য রক্ষা করতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এটি প্রমাণ করে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং হোলোগ্রাফি মিলিয়ে এক শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব; যা ভবিষ্যতে আমাদের ডেটা সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।