ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়া দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলেক্সান্দ্রিয়ায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে আরও যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছেন। তারা চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশে কীভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়; কীভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে দীর্ঘ আন্দোলনের সফলতা ও বিজয় নস্যাৎ করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত রোববার ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানও।

‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের’ পরের দিন আলেক্সান্দ্রিয়ায় স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় মতবিনিময় সভা করে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি। সেখানে ফখরুল বলেন, কদিন আগে তিনি (শেখ হাসিনা) দিল্লি থেকে টেলিফোনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জুলাই-অগাস্টের বিপ্লব সম্পর্কে এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের উদ্দেশে অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন; আন্দোলনকেও অপমান করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই যারা আন্দোলন করেছেন, তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিছু জায়গায় তারা আক্রমণ চালিয়েছে; ধানমন্ডি ৩২ নম্বরেও আক্রমণ হয়েছে। আমরা এসব অরাজক পরিস্থিতি সমর্থন করি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, এখনও যারা নৈরাজ্য করছেন, তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছেন; দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দরকার। অতি দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা প্রয়োজন। এটা হলে আমরা মনে করি, বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচিতি পাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়া দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলেক্সান্দ্রিয়ায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে আরও যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছেন। তারা চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশে কীভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়; কীভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে দীর্ঘ আন্দোলনের সফলতা ও বিজয় নস্যাৎ করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত রোববার ঢাকা ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানও।

‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের’ পরের দিন আলেক্সান্দ্রিয়ায় স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় মতবিনিময় সভা করে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি। সেখানে ফখরুল বলেন, কদিন আগে তিনি (শেখ হাসিনা) দিল্লি থেকে টেলিফোনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জুলাই-অগাস্টের বিপ্লব সম্পর্কে এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের উদ্দেশে অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন; আন্দোলনকেও অপমান করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই যারা আন্দোলন করেছেন, তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিছু জায়গায় তারা আক্রমণ চালিয়েছে; ধানমন্ডি ৩২ নম্বরেও আক্রমণ হয়েছে। আমরা এসব অরাজক পরিস্থিতি সমর্থন করি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি, এখনও যারা নৈরাজ্য করছেন, তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছেন; দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা দরকার। অতি দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা প্রয়োজন। এটা হলে আমরা মনে করি, বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচিতি পাবে।