ঢাকা ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোজাম্মেলের বাড়িতে আহত সাতজন ঢাকা মেডিকেলে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাজীপুর থেকে মারধরে আহত হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোট ১১ জন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাতজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার নাম কাশেম (১৭)। বাকি ছয়জনকে দু’এক দিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেলে বাকি যে ছয়জন চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা হলেন, ইয়াকুব (২৪), শুভ শাহরিয়ার (১৬), গৌরভ ঘোষ (২২), আবদুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২) ও কাজী ওমর হামজা (২১)।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তির কথা জানিয়েছিলেন। তখন হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিনজনের মাথায়, একজনের ডান হাতে ও আরেকজনের শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
হাসপাতালে হামলায় আহত ইয়াকুবের ভাই মো. নাছির বলেন, ফাঁদে ফেলে তার ভাইসহ অন্যদের গাজীপুরে আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসার একটি কক্ষে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আটকে রেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। তার ভাইয়ের মাথায় আঘাত রয়েছে। তার ভাইসহ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান। তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটানো হয়।’

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

মোজাম্মেলের বাড়িতে আহত সাতজন ঢাকা মেডিকেলে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গাজীপুর থেকে মারধরে আহত হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোট ১১ জন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাতজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার নাম কাশেম (১৭)। বাকি ছয়জনকে দু’এক দিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেলে বাকি যে ছয়জন চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা হলেন, ইয়াকুব (২৪), শুভ শাহরিয়ার (১৬), গৌরভ ঘোষ (২২), আবদুর রহমান ইমন (২০), সাব্বির খান হিমেল (২২) ও কাজী ওমর হামজা (২১)।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তির কথা জানিয়েছিলেন। তখন হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিনজনের মাথায়, একজনের ডান হাতে ও আরেকজনের শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
হাসপাতালে হামলায় আহত ইয়াকুবের ভাই মো. নাছির বলেন, ফাঁদে ফেলে তার ভাইসহ অন্যদের গাজীপুরে আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসার একটি কক্ষে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আটকে রেখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। তার ভাইয়ের মাথায় আঘাত রয়েছে। তার ভাইসহ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালান। তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় মসজিদের মাইকে মন্ত্রীর বাড়িতে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দিয়ে লোকজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। মাইকিং শুনে আশপাশের লোকজন বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। এটি শোনার পর প্রতিহত করতে আমাদের শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লুটপাট হচ্ছে। এতে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও পেটানো হয়।’