বিদেশের খবর ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থায় অর্থ সহায়তা প্রদানকারী মার্কিন সরকারি সংস্থা ইউএসএইডের প্রায় ২ হাজার ৭০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো সংক্রান্ত যে নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা আটকে দিয়েছেন ওয়াশিংটনের ডিস্ট্রিক্ট জজ আদালত। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর থেকেই ইউএসএইডের প্রতি খড়গহস্ত হন ট্রাম্প।
নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে ইউএসএইডে আর্থিক তহবিল বরাদ্দ প্রদান ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন, পূর্বসূরি জো বাইডেনের সময় সংস্থাটি থেকে যেসব রাষ্ট্র ও বিদেশী সংস্থাকে সহায়তা লাভ করেছিল, সেসব চুক্তি ও রেকর্ড যাচাইয়ের নির্দেশ দেন এবং সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে, ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ জারির পর সেটির বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট আদালতে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইউনিয়ন এবং মার্কিন সরকারে চাকরিরত বিদেশি কর্মীদের সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ফরেইন সার্ভিস ওয়ার্কার্স। গতকাল সেই মামলার শুনানি শেষে বাধ্যতামূলক ছুটিতে স্থগিতাদেশ দেন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক কার্ল নিকোলস।
সেই সঙ্গে ইতোমধ্যে যেসব কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, তাদের অবিলম্বে ফিরে এসে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার বাদিপক্ষ ইউএসএইডে ফের বরাদ্দ চালু এবং পূর্বের রেকর্ড যাচাইয়ে স্থগিতাদেশেরও আবেদন করেছেন। এ দু’টি আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। তবে লিখিত এক আদেশে বিচারক বলেছেন, “এ ইস্যুতে আদালত হস্তক্ষেপ না করলে প্রশাসন ও কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে।
” বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইউএসএইডের কর্মী রয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি ব্যয় সংকোচন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতার উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় ডজ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএসএইডের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৬১১ জন কর্মকর্তা-কর্মী যথেষ্ট। তাই বাকি কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এই বিজ্ঞপ্তি জারির পরপরই ওয়াশিংটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইউনিয়ন এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ফরেইন সার্ভিস ওয়ার্কার্স। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শেষে এ রায় দেন বিচারক কার্ল নিকোলস। সূত্র : রয়টার্স।