ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়রাজাপুর গ্রামে মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শত শত বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এসময় অনেককে বিভিন্ন সামগ্রী খুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এরআগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের খবরে ওই বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে গত ছয় মাসে নিজস্ব লোকজন দিয়ে নির্মাণকাজ করে বাড়িটিকে আবারও বসবাসের উপযুক্ত করে তোলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে শত শত ছাত্র-জনতা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

তারা ঘরের দরজা-জানালা ও গ্রিল ভেঙে লুটপাট চালান এবং অগ্নিসংযোগ কনরে। এতে ওবায়দুল কাদের ও তার ভাইদের পাঁচটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের ওই বাড়িতে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। পাশের বাড়িতে বসবাস করতেন তার আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা সপরিবারে পলাতক। হামলাকারীরা জানান, ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়ি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অর্থ লুট ও চাকরি বাণিজ্যের আখড়া ছিল। এখান থেকেই রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। তাদের দাবি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার কোথাও এ বাড়ির ষড়যন্ত্রের কারণে মেধার মূল্যায়ন হয়নি। দেশের বড় বড় প্রজেক্টের টাকা এ বাড়িতে ভাগ বাটোয়ারা হতো।

এখানে বসে খুনের পরিকল্পনা হতো। তাই পলাতক ওবায়দুল কাদের, কাদের মির্জা ও শাহাদাতের সেই আস্তানার চিহ্ন মুছে দিতে এ হামলা চালানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়রাজাপুর গ্রামে মিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শত শত বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এসময় অনেককে বিভিন্ন সামগ্রী খুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এরআগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের খবরে ওই বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে গত ছয় মাসে নিজস্ব লোকজন দিয়ে নির্মাণকাজ করে বাড়িটিকে আবারও বসবাসের উপযুক্ত করে তোলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে শত শত ছাত্র-জনতা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

তারা ঘরের দরজা-জানালা ও গ্রিল ভেঙে লুটপাট চালান এবং অগ্নিসংযোগ কনরে। এতে ওবায়দুল কাদের ও তার ভাইদের পাঁচটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের ওই বাড়িতে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। পাশের বাড়িতে বসবাস করতেন তার আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তারা সপরিবারে পলাতক। হামলাকারীরা জানান, ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়ি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অর্থ লুট ও চাকরি বাণিজ্যের আখড়া ছিল। এখান থেকেই রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। তাদের দাবি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার কোথাও এ বাড়ির ষড়যন্ত্রের কারণে মেধার মূল্যায়ন হয়নি। দেশের বড় বড় প্রজেক্টের টাকা এ বাড়িতে ভাগ বাটোয়ারা হতো।

এখানে বসে খুনের পরিকল্পনা হতো। তাই পলাতক ওবায়দুল কাদের, কাদের মির্জা ও শাহাদাতের সেই আস্তানার চিহ্ন মুছে দিতে এ হামলা চালানো হয়।