ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টিকটক নিয়ে বিরোধ: ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের

  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধে ছুরিকাঘাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, টিকটক ভিডিও বানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মুবিনুল হক মুমিন (১৭) পুটিবিলা ইউনিয়নের নালারকূল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মুকিত (১৬) নামে আরও এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে প্রথমে কিশোর-তরুণদের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। স্থানীয় গণমান্য লোকজনের মধ্যস্থতায় আপস মিমাংসাও হয়েছিল। কিন্তু রাতে আবার মুমিন ও তার বন্ধু মুকিতকে পেয়ে মারধর করা হয়। মারামারির মধ্যে ছুরিকাঘাতে তারা আহত হন।’ ‘আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মুমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। মুকিতকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ এ ঘটনায় মুমিনের মা খোরশিদা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন।

ছয় আসামি হল- হেলাল উদ্দিন (২২), শাকিব (১৮), শাকিল (২৫), নাঈমুদ্দিন (১৯), শওকত (২৫) এবং হারুন (২১)। মামলায় বাদী খোরশিদা বেগম অভিযোগ করেছেন, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাঁতীপাড়ার শাহ ইমাম বাড়ি মসজিদের মাঠে নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন মুমিন ও মুকিত। এসময় হেলাল ও শাকিল তাদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুমিন ও মুকিতকে মারধর করে। বিষয়টি নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে জানানোর পর তিনি আপস মিমাংসা করে দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে আবার মুমিনকে একা পেয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। অদূরে থাকা মুকিত দৌড়ে এসে বন্ধুকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। উভয়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা: অন্তর্বর্তী সরকার

টিকটক নিয়ে বিরোধ: ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের

আপডেট সময় : ০৬:২২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধে ছুরিকাঘাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, টিকটক ভিডিও বানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত মুবিনুল হক মুমিন (১৭) পুটিবিলা ইউনিয়নের নালারকূল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মুকিত (১৬) নামে আরও এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে প্রথমে কিশোর-তরুণদের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। স্থানীয় গণমান্য লোকজনের মধ্যস্থতায় আপস মিমাংসাও হয়েছিল। কিন্তু রাতে আবার মুমিন ও তার বন্ধু মুকিতকে পেয়ে মারধর করা হয়। মারামারির মধ্যে ছুরিকাঘাতে তারা আহত হন।’ ‘আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মুমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। মুকিতকে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ এ ঘটনায় মুমিনের মা খোরশিদা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন।

ছয় আসামি হল- হেলাল উদ্দিন (২২), শাকিব (১৮), শাকিল (২৫), নাঈমুদ্দিন (১৯), শওকত (২৫) এবং হারুন (২১)। মামলায় বাদী খোরশিদা বেগম অভিযোগ করেছেন, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাঁতীপাড়ার শাহ ইমাম বাড়ি মসজিদের মাঠে নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন মুমিন ও মুকিত। এসময় হেলাল ও শাকিল তাদের লক্ষ্য করে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মুমিন ও মুকিতকে মারধর করে। বিষয়টি নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে জানানোর পর তিনি আপস মিমাংসা করে দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে আবার মুমিনকে একা পেয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। অদূরে থাকা মুকিত দৌড়ে এসে বন্ধুকে রক্ষার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। উভয়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়।