ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

চাকরিতে ঢোকার বয়স কেন বাড়বে না, বললেন প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে তাতে ‘প্রতিযোগিতা ও হতাশা’ দুটোই বাড়তে পারে; সে কারণে তেমন কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেনের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সেশনজট ‘নেই বললেই চলে’। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে পারছে।
“সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।”
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। এই সীমা বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে, যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। মহামারীর মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের জন্য দুই দফা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছিল, গত সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহামারী প্রলম্বিত হতে থাকায় এ বছর আরেক দফা সুযোগ দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারাও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য সব সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। মহামারীর মধ্যেই এবছর তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলেও অন্য চাকরির সার্কুলার খুব বেশি হয়নি। ফলে চাকরির বাজারের অবস্থাও খুব বেশি বদলায়নি।
সংসদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার ফলে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।
“এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ এর কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আপাতত বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।”
আওয়ামী লীগের এমপি আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮তম থেকে ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। একই সময়ে নন ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরে ৫ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকরিতে ঢোকার বয়স কেন বাড়বে না, বললেন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৩২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে তাতে ‘প্রতিযোগিতা ও হতাশা’ দুটোই বাড়তে পারে; সে কারণে তেমন কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে সংসদকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেনের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সেশনজট ‘নেই বললেই চলে’। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি, ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে পারছে।
“সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।”
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। এই সীমা বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে, যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। মহামারীর মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছে, তাদের জন্য দুই দফা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছিল, গত সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহামারী প্রলম্বিত হতে থাকায় এ বছর আরেক দফা সুযোগ দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর হয়েছে, তারাও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য সব সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন। মহামারীর মধ্যেই এবছর তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলেও অন্য চাকরির সার্কুলার খুব বেশি হয়নি। ফলে চাকরির বাজারের অবস্থাও খুব বেশি বদলায়নি।
সংসদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ার ফলে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।
“এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি, তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ এর কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আপাতত বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।”
আওয়ামী লীগের এমপি আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮তম থেকে ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে পিএসসি। একই সময়ে নন ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে ৫ হাজার ১৪৩ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির পরে ৫ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।