মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (৪০) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার ঠাকুরকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রেজিস্ট্রারে নিজের নাম-পরিচয় না লিখে পুলিশকে না জানিয়ে লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন স্বামী মোস্তাক আহমেদ। নিহতের স্বামী মোস্তাক আহমেদ পোলট্রি ফিডের ব্যবসা করেন। তার তিন ছেলে ঢাকায় থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ঠাকুরকান্দি পশ্চিমপাড়া জবেদা খাতুন দারুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। পুলিশ জানায়, বাড়ির বাথরুমের সামনে উঠানে সুমাইয়াকে গলাকাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে উদ্ধার করে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের স্বামী হাসপাতাল রেজিস্ট্রারে মৃতের নাম-ঠিকানা না লিখে এবং পুলিশকে অবহিত না করে মরদেহ নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) সাদিয়া সাবরিনা চৌধুরী এবং ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘিওর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঠাকুরকান্দি গ্রামে গৃহবধূ সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশ বাড়ির উঠানে গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। গতকাল বুধবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘিওর থানার
উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই নারীর গলার এক পাশে কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলা কাটায় রক্তক্ষরণে ওই নারীর মৃত্যু হতে পারে। যথাযথ তদন্ত করে দ্রুততম সময়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।’ ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।