ক্রীড়া ডেস্ক: প্রায় ৯ বছর পর আবার প্রশ্নবিদ্ধ আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন। বিপিএলের শেষ দিকে এসে আম্পায়ারদের সন্দেহের তালিকায় যুক্ত হলো বাঁহাতি স্পিনারের নাম। টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন এটি।
“আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন সাসপেক্টেড হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাকে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার ফল আসার আগপর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই। বিসিবির সংশ্লিষ্ট বিভাগ শিগগিরই পরীক্ষাটি নেবে।” তবে কোন ম্যাচে বা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেলিভারি কি না অথবা কতটি ডেলিভারি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আম্পায়াররা, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি রকিবুল।
বিসিবির সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সানির বোলিং অ্যাকশনে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়াররা। সেদিন ৪ ওভার বোলিং করে ৪১ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী স্পিনার। ওই ম্যাচের দুই আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও রাভিন্দ্রা উইমালসিরিই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
আগামী শনিবারের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে সানিকে। তবে বিপিএলের মাঝে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফাইনালের পরদিন অর্থাৎ শনিবার বিসিবির তত্ত্বাবধানে নেওয়া হতে পারে সানির বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা। টুর্নামেন্টের মাঝপথে চিটাগংয়ের আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। পরে পরীক্ষায় জানা গেছে, কোনো সমস্যা নেই রহস্য স্পিনারের অ্যাকশনে। তাই বোলিংয়ের পূর্ণ ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। বোলিং অ্যাকশনজনিত সমস্যায় আগেও পড়েছেন সানি। ভারতে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। পরে পরীক্ষায়ও পাস করতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার।
বিশ্বকাপের মাঝপথেই তাই দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। ওই বছরই বোলিং অ্যাকশন শুধরে স্বীকৃত ক্রিকেটে ফেরেন সানি। তবে ওই টুর্নামেন্টের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নানা সময়ে টুকটাক সন্দেহ উঠেছে বটে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আর খবর জানা যায়নি। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৮.৩০ রান খরচায় ১০ উইকেট নিয়েছেন সানি। বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে খেলতে বাধা নেই তার।