বিদেশের খবর ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোয় কোনো সম্পদ রাখা বা বের করা যাচ্ছে না। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ধারণা করছে, এসব বিশেষ লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি অনুরোধ জানান যে, বাংলাদেশের ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকারগুলো সাময়িকভাবে ফ্রিজ করা হোক, যাতে কেউ এগুলো থেকে কোনো সম্পদ সরাতে না পারে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক একটি তল্লাশির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সিলগালা করা তিনটি কৌটায় ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করেছে। এই অনুসন্ধানে রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও সিলগালা লকারে অবৈধ সম্পদ থাকতে পারে। এ তে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুদক ও অর্থ উপদেষ্টার আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাংক ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে যে, বর্তমানে কোনো কর্মকর্তার লকারে জমা রাখা সম্পদ বের করা যাবে না।