ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস-ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের এমনভাবে সতর্ক থাকতে হবে-যেন আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে রয়েছি। তিনি বলেন, ‘এ বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় বছর। আমরা কাউকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেবো না।’ এ সময় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি ও পুলিশ প্রধানসহ বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি, কোস্টগার্ড ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সর্বাধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, যাতে তারা কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে পারে।’

সিনিয়র সুরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি কমান্ড সেন্টার বা একটি কমান্ড হেডকোয়ার্টার স্থাপন করতে হবে, যা সব পুলিশ ও সুরক্ষা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কমান্ড কাঠামো দক্ষতার সঙ্গে এবং নিবিড়ভাবে দেশের সব সংস্থা, থানা এবং সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গরা নৈরাজ্য সৃষ্টি ও অপপ্রচারের অপচেষ্টায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।’ এসময় প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা এবং ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনও হামলা প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা প্রধানদের নির্দেশ দেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বিশ্বে ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়েও আমাদের অনেক স্বচ্ছ হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার প্রয়াসে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাগুলো তদারকির জন্য পুলিশ ১০টি টিম গঠন করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবং এই মামলাগুলোতে কোনও নিরপরাধ লোক যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিষয়ে রেড নোটিশ জারির চেষ্টায় বাংলাদেশ ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে। আমরা একটা অনুরোধ রেখেছি। আশা করছি, শিগগিরই সাড়া পাবো।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএম) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করায় রাজধানীতে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

অনলাইনে মামলা দায়ের পদ্ধতি চালুর নির্দেশ: ভোগান্তি ও অনিয়ম দূর করতে সশরীরে থানায় না গিয়ে অনলাইনে যাতে মামলা দায়ের করা যায়, সে ব্যবস্থা চালু করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে, কোনো মামলা দায়ের করতে হলে কাছের থানায় গিয়ে এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দাখিল করতে হয়। এই প্রক্রিয়া জটিল এবং এতে অনিয়মের সুযোগ থাকে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জনগণের সুবিধার্থে পুলিশের উচিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মতো একটি বিশেষ ফোন নম্বর চালু করা। যাতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই এফআইআর দায়ের করা যায়। তিনি বলেন, এতে আমাদের জনগণের মামলা দায়ের করার সময় যে হয়রানির মুখোমুখি হয়, তা কমবে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমকে যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনে এফআইআর দায়েরের জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউসূস। এছাড়া অনলাইনে মামলা দায়ের সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ কল সেন্টার স্থাপনেরও নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধানকে। তিনি বলেন, যারা অনলাইনে মামলা দায়ের করতে সমস্যায় পড়বেন, তারা সহজেই কল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারবেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৯:০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের এমনভাবে সতর্ক থাকতে হবে-যেন আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে রয়েছি। তিনি বলেন, ‘এ বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় বছর। আমরা কাউকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেবো না।’ এ সময় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি ও পুলিশ প্রধানসহ বিজিবি, র‌্যাব, ডিএমপি, কোস্টগার্ড ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপনে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সর্বাধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে, যাতে তারা কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে পারে।’

সিনিয়র সুরক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি কমান্ড সেন্টার বা একটি কমান্ড হেডকোয়ার্টার স্থাপন করতে হবে, যা সব পুলিশ ও সুরক্ষা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কমান্ড কাঠামো দক্ষতার সঙ্গে এবং নিবিড়ভাবে দেশের সব সংস্থা, থানা এবং সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গরা নৈরাজ্য সৃষ্টি ও অপপ্রচারের অপচেষ্টায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।’ এসময় প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা এবং ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনও হামলা প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা প্রধানদের নির্দেশ দেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বিশ্বে ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বিষয়েও আমাদের অনেক স্বচ্ছ হতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার প্রয়াসে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নৃশংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলাগুলো তদারকির জন্য পুলিশ ১০টি টিম গঠন করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এবং এই মামলাগুলোতে কোনও নিরপরাধ লোক যাতে হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিষয়ে রেড নোটিশ জারির চেষ্টায় বাংলাদেশ ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে। আমরা একটা অনুরোধ রেখেছি। আশা করছি, শিগগিরই সাড়া পাবো।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএম) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করায় রাজধানীতে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

অনলাইনে মামলা দায়ের পদ্ধতি চালুর নির্দেশ: ভোগান্তি ও অনিয়ম দূর করতে সশরীরে থানায় না গিয়ে অনলাইনে যাতে মামলা দায়ের করা যায়, সে ব্যবস্থা চালু করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে, কোনো মামলা দায়ের করতে হলে কাছের থানায় গিয়ে এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দাখিল করতে হয়। এই প্রক্রিয়া জটিল এবং এতে অনিয়মের সুযোগ থাকে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জনগণের সুবিধার্থে পুলিশের উচিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মতো একটি বিশেষ ফোন নম্বর চালু করা। যাতে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সহজেই এফআইআর দায়ের করা যায়। তিনি বলেন, এতে আমাদের জনগণের মামলা দায়ের করার সময় যে হয়রানির মুখোমুখি হয়, তা কমবে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমকে যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনে এফআইআর দায়েরের জন্য একটি নতুন ফোন নম্বর চালুর নির্দেশ দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউসূস। এছাড়া অনলাইনে মামলা দায়ের সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ কল সেন্টার স্থাপনেরও নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধানকে। তিনি বলেন, যারা অনলাইনে মামলা দায়ের করতে সমস্যায় পড়বেন, তারা সহজেই কল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারবেন।