ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ব্রিটিশ সংস্থা

  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

টিউলিপ সিদ্দিক-ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: ব্রিটেনের সাবেক সিটি মিনিস্টার এবং লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সহায়তা করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে ঢাকায় সফর করেছেন কয়েকজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।

টিউলিপ তার খালা, গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করে নানা সময়ে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট গ্রহণেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মাসে একজন এথিকস অ্যাডভাইজার দেখেছেন যে, টিউলিপ এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এরপরই লেবার পার্টির নেতৃস্থানীয় পদ থেকে তাকে ইস্তফা দিতে হয়েছে।

ট্রেজারি মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব ছিল টিউলিপের। কিন্তু লন্ডনে নিজের ব্যবহৃত সম্পত্তি এবং সেগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি নিজেই এ বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন টিউলিপ, হাসিনা ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে।

এই তদন্তে ব্রিটিশ পুলিশও সহায়তা করছে বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের আত্মসাৎ করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহায়তা করার জন্য এনসিএর কর্মকর্তারা গত বছরের অক্টোবরে প্রথমবার বাংলাদেশ সফর করে। একটি সূত্র বলছে, এই মামলা যেন বিচারের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে সেজন্য ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে চাচ্ছে।
এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং যুক্তরাজ্যেও টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, কেউ ঘুষ গ্রহণ করলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ব্রিটিশ সংস্থা

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ব্রিটেনের সাবেক সিটি মিনিস্টার এবং লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সহায়তা করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

সম্প্রতি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে ঢাকায় সফর করেছেন কয়েকজন ব্রিটিশ কর্মকর্তা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।

টিউলিপ তার খালা, গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব ব্যবহার করে নানা সময়ে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট গ্রহণেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মাসে একজন এথিকস অ্যাডভাইজার দেখেছেন যে, টিউলিপ এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এরপরই লেবার পার্টির নেতৃস্থানীয় পদ থেকে তাকে ইস্তফা দিতে হয়েছে।

ট্রেজারি মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব ছিল টিউলিপের। কিন্তু লন্ডনে নিজের ব্যবহৃত সম্পত্তি এবং সেগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি নিজেই এ বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন টিউলিপ, হাসিনা ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করছে।

এই তদন্তে ব্রিটিশ পুলিশও সহায়তা করছে বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের আত্মসাৎ করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহায়তা করার জন্য এনসিএর কর্মকর্তারা গত বছরের অক্টোবরে প্রথমবার বাংলাদেশ সফর করে। একটি সূত্র বলছে, এই মামলা যেন বিচারের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে সেজন্য ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে চাচ্ছে।
এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় বরং যুক্তরাজ্যেও টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, কেউ ঘুষ গ্রহণ করলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।