ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পাউডারি মিলডিউ রোগে মুগ ডাল গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কমে

  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: বাংলাদেশে ভাতের পরেই দ্বিতীয় প্রধান খাবার হিসেবে ডালকে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে ডাল আমিষের অন্যতম প্রধান জোগানদাতা। তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৪৫ গ্রাম করে ডাল খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা খাচ্ছি মাত্র ১২-১৫ গ্রাম।
ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এ ঘাটতি পূরণে সহায়ক।

ডালজাতীয় ফসলের মধ্যে মসুর, মুগ, মাসকলাই, ছোলা ও মটরই মূলত প্রধান। পুষ্টির দিক থেকে মুগ ডালকে সেরা বিবেচনা করা হয়। মুগ ডাল চাষে কৃষক একদিকে যেমন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন, অন্যদিকে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন।

দুই বা আড়াই মাসে ফসল পাওয়ায় কৃষক সহজেই আমন ধান কাটার পর পতিত জমিতে মুগ ডাল চাষের আওতায় আনতে পারেন। তবে মুগ ডালের পাউডারি মিলডিউ রোগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেননা এটি ছত্রাকজনিত রোগ; যা গাছের পাতা, কাণ্ড ও ফলের ওপর সাদা পাউডার পদার্থ তৈরি করে। এ রোগের কারণে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফলনও কমে যায়।

লক্ষণ: পাতা, কাণ্ড ও ফল আক্রান্ত হয়; আক্রান্ত পাতা, কাণ্ড ও ফলে সাদা পাউডারের মতো আবরণ পড়ে; প্রথমে পাতার ওপরপৃষ্ঠে ছোট ছোট সাদা হালকা পাউডারি দাগ দেখা যায়; পরে ধূসর সাদা রং ধারণ করে। ধীরে ধীরে এ দাগ সব পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফলে বিস্তার লাভ করে; আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে হালকা নীল থেকে ধূসর বর্ণের দাগ পরিলক্ষিত হয়; এ রোগের আক্রমণ বেশি হলে সব গাছ আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়; বীজ, পরিত্যক্ত গাছের অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা: আগাম বীজ বপন করা; সুষম সার প্রয়োগ করা; পরিমিত সেচ প্রদান; রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করা; আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।

রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা: এ রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে হাদিয়াভিট (সালফার গ্রুপের) ২ গ্রাম মিশিয়ে ১২-১৫ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাউডারি মিলডিউ রোগে মুগ ডাল গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কমে

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কৃষি ও কৃষক ডেস্ক: বাংলাদেশে ভাতের পরেই দ্বিতীয় প্রধান খাবার হিসেবে ডালকে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে ডাল আমিষের অন্যতম প্রধান জোগানদাতা। তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের গড়ে প্রতিদিন ৪৫ গ্রাম করে ডাল খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা খাচ্ছি মাত্র ১২-১৫ গ্রাম।
ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এ ঘাটতি পূরণে সহায়ক।

ডালজাতীয় ফসলের মধ্যে মসুর, মুগ, মাসকলাই, ছোলা ও মটরই মূলত প্রধান। পুষ্টির দিক থেকে মুগ ডালকে সেরা বিবেচনা করা হয়। মুগ ডাল চাষে কৃষক একদিকে যেমন পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবেন, অন্যদিকে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারবেন।

দুই বা আড়াই মাসে ফসল পাওয়ায় কৃষক সহজেই আমন ধান কাটার পর পতিত জমিতে মুগ ডাল চাষের আওতায় আনতে পারেন। তবে মুগ ডালের পাউডারি মিলডিউ রোগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেননা এটি ছত্রাকজনিত রোগ; যা গাছের পাতা, কাণ্ড ও ফলের ওপর সাদা পাউডার পদার্থ তৈরি করে। এ রোগের কারণে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফলনও কমে যায়।

লক্ষণ: পাতা, কাণ্ড ও ফল আক্রান্ত হয়; আক্রান্ত পাতা, কাণ্ড ও ফলে সাদা পাউডারের মতো আবরণ পড়ে; প্রথমে পাতার ওপরপৃষ্ঠে ছোট ছোট সাদা হালকা পাউডারি দাগ দেখা যায়; পরে ধূসর সাদা রং ধারণ করে। ধীরে ধীরে এ দাগ সব পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফলে বিস্তার লাভ করে; আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে হালকা নীল থেকে ধূসর বর্ণের দাগ পরিলক্ষিত হয়; এ রোগের আক্রমণ বেশি হলে সব গাছ আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়; বীজ, পরিত্যক্ত গাছের অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা: আগাম বীজ বপন করা; সুষম সার প্রয়োগ করা; পরিমিত সেচ প্রদান; রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করা; আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে নষ্ট বা পুড়ে ফেলা।

রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা: এ রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে হাদিয়াভিট (সালফার গ্রুপের) ২ গ্রাম মিশিয়ে ১২-১৫ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।