ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিল

  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

রোববার হাইকোর্ট মাজার গেটে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মসূচি আটকে দেয় পুলিশ। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেফ এক্সিট দেওয়ার প্রতিবাদ ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। হাইকোর্ট মাজার গেটে তাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে হাইকোর্ট মাজার গেটে পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা পোস্ট দিচ্ছেন, বিচার করতে হবে। আপনার কাছে প্রশ্ন, কারা বিচার করবে? যখন উপদেষ্টা ছিলেন না তখন বলতেন, এটা করবো সেটা করবো। গত ছয় মাসে কোন জিনিসটা করেছেন?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আছে, অতি দ্রুত তাদের গ্রফতার করতে হবে। আমরা দেখছি, বিসিএস কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করছেন। আপনারা কী করেন?’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা আর কোনও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো না। এখন সময় সুশীল সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। চট্টগ্রামের নেভির দাওয়াতে কীভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত থাকে?’

ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দাবি–
১. জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পরিপূর্ণ রূপরেখা সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।

২. সব পাবলিক প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. চট্টগ্রামে যে কর্মকর্তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদদ দিচ্ছে, অনতিবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিল

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেফ এক্সিট দেওয়ার প্রতিবাদ ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। হাইকোর্ট মাজার গেটে তাদের আটকে দিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে হাইকোর্ট মাজার গেটে পৌঁছালে মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন।

সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা পোস্ট দিচ্ছেন, বিচার করতে হবে। আপনার কাছে প্রশ্ন, কারা বিচার করবে? যখন উপদেষ্টা ছিলেন না তখন বলতেন, এটা করবো সেটা করবো। গত ছয় মাসে কোন জিনিসটা করেছেন?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আছে, অতি দ্রুত তাদের গ্রফতার করতে হবে। আমরা দেখছি, বিসিএস কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করছেন। আপনারা কী করেন?’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা আর কোনও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো না। এখন সময় সুশীল সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। চট্টগ্রামের নেভির দাওয়াতে কীভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত থাকে?’

ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দাবি–
১. জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পরিপূর্ণ রূপরেখা সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।

২. সব পাবলিক প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৩. চট্টগ্রামে যে কর্মকর্তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদদ দিচ্ছে, অনতিবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।