বিদেশের খবর ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে একটি ছোট মেডিকেল জেট বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির সংবাদে এ তথ্য প্রচারিত হয়েছে। জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিমানটি একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত মিশনে ছিল এবং এতে চারজন ক্রু, এক শিশুরোগী ও তার সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তি ছিলেন।
হতাহতের বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পরপরই জরুরি উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মুখপাত্র শাই গোল্ড জানান, বিমানে থাকা শিশুটি যুক্তরাষ্ট্রে জীবন-মৃত্যুর সংকটে চিকিৎসাধীন ছিল এবং তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্যে মেক্সিকোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় একটি দাতব্য সংস্থা বহন করছিল। তিনি আরও বলেন, ‘ সে অনেক লড়াই করেছিল বেঁচে থাকার জন্য, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাড়ি ফেরার পথেই এই ট্র্যাজেডি ঘটে গেল।’ ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেল পার্কার বলেন, এখনো নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তিনি শহরবাসীকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি কেউ ধ্বংসাবশেষ দেখে, দয়া করে ৯১১ নম্বরে কল করুন, নিজেরা কিছু স্পর্শ করবেন না।’ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি দ্রুত নিচে নেমে আসে এবং বিশাল আগুনের গোলার সৃষ্টি হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি দেখলাম, বিমানটি একটি ভবনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়। পুরো আকাশ আলোকিত হয়ে যায়। ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছিল।’ ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, বিমানটি ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উড্ডয়ন করে এবং মাত্র চার মাইল দূরে বিধ্বস্ত হয়। এটি মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এফএএ ও ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, এ দুর্ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি বেসামরিক বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হন। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ছিল।