ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

জালিয়াতির মাধ্যমে এনআইডি: নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মী বরখাস্ত

  • আপডেট সময় : ০৬:১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি তাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। কারো কারো সঙ্গে লক্ষাধিক টাকারও লেনদেন হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে।

অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার দুজন হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের। হুমায়ুন কবীর বলেন, তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করে তাদের আদালতে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, এ এলাকায় ১০৬ জনকে ভোটার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। স্থানীয় অনেকের বায়োমেট্রিক ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম শনাক্ত করা হয়েছে।

এসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও বিদেশে থাকা লোকের পরিবর্তে অন্যের আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত ভোটার হতে পারত না বলে জানান তিনি।

১৭ লাখের বেশি নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ: সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কাজ। এনআইডি ডিজি বলেন, সোমবার পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী কোনো নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ইতোমধ্যে বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জালিয়াতির মাধ্যমে এনআইডি: নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মী বরখাস্ত

আপডেট সময় : ০৬:১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাশাপাশি তাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। কারো কারো সঙ্গে লক্ষাধিক টাকারও লেনদেন হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছে।

অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার দুজন হলেন- উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের। হুমায়ুন কবীর বলেন, তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করে তাদের আদালতে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, এ এলাকায় ১০৬ জনকে ভোটার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন। স্থানীয় অনেকের বায়োমেট্রিক ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম শনাক্ত করা হয়েছে।

এসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হলেও বিদেশে থাকা লোকের পরিবর্তে অন্যের আঙ্গুলের ছাপ ও বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত ভোটার হতে পারত না বলে জানান তিনি।

১৭ লাখের বেশি নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ: সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কাজ। এনআইডি ডিজি বলেন, সোমবার পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী কোনো নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ইতোমধ্যে বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।