ক্রীড়া ডেস্ক: সৌদি আরবের শীর্ষ ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কৈশোরের ক্লাব সান্তোসে ফিরছেন নেইমার জুনিয়র। প্রিয় ক্লাবে ফিরেই স্বপ্নের দল সাজাতে চান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু প্রিয় দুই সতীর্থ লিওনেল মেসি কিংবা লুইস সুয়ারেসকে যে পাচ্ছেন না, তা নিশ্চিত। তবে তার স্বপ্নের দলে তারকার অভাব নেই। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ইউওএল এস্পোর্তে’ জানিয়েছে, সান্তোসের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্লাবকে কয়েকজন আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকাকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক তারকা নেইমার।
তিনি যাদেরকে আনতে চান, তাদের মধ্যে আছেন পল পগবা ও সের্হিও রামোস। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার পর ফরাসি মিডফিল্ডার পগবার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জুভেন্টাস। সম্প্রতি মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রামোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি তার নিজ দেশের ক্লাব সেভিয়া। দুজনেই এখন ফ্রি এজেন্ট। ফলে তাদের দলে ভেড়ানো এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ।
ব্রাজিল ও পিএসজির সাবেক সতীর্থ থিয়েগো সিলভাকেও সান্তোসে আনার পরামর্শ দিয়েছেন নেইমার। সিলভা এখন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের হয়ে খেলছেন। আরেক ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা মার্সেলোকেও সান্তোসে চান নেইমার। ফ্লুমিনেন্স ছাড়ার পর মার্সেলো এখন ফ্রি এজেন্ট। নেইমারের আগ্রহের তালিকায় আছেন পাওলো হেনরিক গানসো। যিনি সান্তোসে নেইমারের প্রথম পর্বের সতীর্থ ছিলেন। তার বর্তমান ঠিকানা রিও দে জেনেরিও।
এর বাইরে বিশ্বমানের মিডফিল্ডার আর্থার মেলো (জুভেন্টাস) ও আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লেয়ান্দ্রো পারেদেসকে আনার পরামর্শ দিয়েছেন নেইমার। রোমার এই তারকাকে পেতে আগ্রহী তার নিজ দেশের ক্লাব বোকাও। পিএসজিতে একসময় পারেদেসের সঙ্গে খেলেছেন নেইমার। সেই সুত্র ধরে তাকে সান্তোসে আনার স্বপ্ন দেখছেন নেইমার। আর্জেন্টিনার তারকা ক্রীড়া সাংবাদিক গাস্তন এদুল অবশ্য বলছেন, সান্তোস এরইমধ্যে নেইমারের মাধ্যমে পারেদেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু পারেদেস নিজে বোকার প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছেন।
এর আগে গতকাল সৌদি আরবের ফুটবলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি সান্তোসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। চুক্তির প্রাথমিক মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। তবে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি। কারণ ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্য নিয়েই ব্রাজিলে ফিরেছেন তিনি।