ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
এক বছরে নিহত ১৪০

বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরায় ৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড

  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি ফায়ার সার্ভিসের সৌজন্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালে সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি এবং দিনে গড়ে ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস সংক্রান্ত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান।

এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা: ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে গত বছর অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।

এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ৩৪১ জন আহত ও ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুজন কর্মী নিহত হন।

ফায়ার সার্ভিসের ৩৪ গাড়ি ভাঙচুর, ৮ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ: তালহা বিন জসিম বলেন, অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯০৬৯টি-বিড়ি-সিগারেটে ৪১৩৯ অগ্নিকাণ্ড: কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২ শতাংশ), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬ শতাংশ), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪ শতাংশ), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫ শতাংশ), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশবাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বাসা বাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৬.৭৪ শতাংশ।

খড়ের গাঁদায় সাড়ে ৪ হাজার আগুন: গত বছর খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২ শতাংশ), রান্না ঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪ শতাংশ), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিংমলে ৪৮১টি, পোশাক শিল্প ব্যতীত কলকারখানায় ৪৯৪টি, পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ২৩৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনে (৬ তলার উপরে) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাটগুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরিবহনে আগুন: পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে সারা দেশে বাস বাদে যানবাহনে ২৬৮টি, বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২৭৩৭ অগ্নিকাণ্ড: মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি (২৭৩৭টি), মার্চ (৩৪২১টি), এপ্রিল (৩৪২৬টি), মে (২৬৮৬টি)- এই চার মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই চার মাসে গড়ে প্রতিদিন ১০২টি করে আগুন লেগেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৫১৪টি, জুলাই মাসে ১ হাজার ৪২৭টি, আগস্ট মাসে ২ হাজার ১৬৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ১৪০: ২০২৪ সালের অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতের পরিষংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে ২৩৭ জন পুরুষ ও নারী ১০৪ জন এবং নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। এছাড়া আহত ও নিহতের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে (আহত ৭২, নিহত ৩৬), গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (আহত ৫৩, নিহত ৮) এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে (আহত ৭৮, নিহত ৪৭) আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন।

এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে সারাদেশে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫৬ জন আহত ও ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। একই সময় ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি, ২২৭টি প্রাণি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
২০২৪ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৯ হাজার ১২৮টি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ১০ হাজার ৮২৬ জন আহত ও ২ হাজার ৪৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৩১৯ জন আহত ও ১ হাজার ৪৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

মোবাইল কোর্টে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা: তালহা বিন জসিম আরও জানান, সারা দেশে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এসব মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অগ্নিদুর্ঘটনা কমানোর জন্য সারা দেশে জনগণকে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৮ হাজার ৯৮৩টি মহড়া, ৩ হাজার ৩৬টি সার্ভে, ১৫ হাজার ৬৮৩টি গণসংযোগ করেছে।

এ ছাড়া সারা দেশে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে ৭ হাজার ৭৬৯টি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অপরদিকে ২০২৪ সালে শুধু পোশাকশিল্প কারখানায় ৩ হাজার ৯২১টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪০ জন পোশাক শ্রমিককে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক বছরে নিহত ১৪০

বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরায় ৪ হাজার অগ্নিকাণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালে সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি এবং দিনে গড়ে ৭৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস সংক্রান্ত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানান।

এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা: ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে গত বছর অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।

এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ৩৪১ জন আহত ও ১৪০ জন নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুজন কর্মী নিহত হন।

ফায়ার সার্ভিসের ৩৪ গাড়ি ভাঙচুর, ৮ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ: তালহা বিন জসিম বলেন, অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯০৬৯টি-বিড়ি-সিগারেটে ৪১৩৯ অগ্নিকাণ্ড: কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২ শতাংশ), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬ শতাংশ), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪ শতাংশ), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫ শতাংশ), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশবাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বাসা বাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৬.৭৪ শতাংশ।

খড়ের গাঁদায় সাড়ে ৪ হাজার আগুন: গত বছর খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২ শতাংশ), রান্না ঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪ শতাংশ), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিংমলে ৪৮১টি, পোশাক শিল্প ব্যতীত কলকারখানায় ৪৯৪টি, পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ২৩৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনে (৬ তলার উপরে) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাটগুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরিবহনে আগুন: পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে সারা দেশে বাস বাদে যানবাহনে ২৬৮টি, বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২৭৩৭ অগ্নিকাণ্ড: মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারি (২৭৩৭টি), মার্চ (৩৪২১টি), এপ্রিল (৩৪২৬টি), মে (২৬৮৬টি)- এই চার মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই চার মাসে গড়ে প্রতিদিন ১০২টি করে আগুন লেগেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৫১৪টি, জুলাই মাসে ১ হাজার ৪২৭টি, আগস্ট মাসে ২ হাজার ১৬৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ১৪০: ২০২৪ সালের অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতের পরিষংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে ২৩৭ জন পুরুষ ও নারী ১০৪ জন এবং নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। এছাড়া আহত ও নিহতের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি ও আবাসিক ভবনে (আহত ৭২, নিহত ৩৬), গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (আহত ৫৩, নিহত ৮) এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে (আহত ৭৮, নিহত ৪৭) আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন।

এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে সারাদেশে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫৬ জন আহত ও ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। একই সময় ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি, ২২৭টি প্রাণি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
২০২৪ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৯ হাজার ১২৮টি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ১০ হাজার ৮২৬ জন আহত ও ২ হাজার ৪৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৩১৯ জন আহত ও ১ হাজার ৪৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

মোবাইল কোর্টে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা: তালহা বিন জসিম আরও জানান, সারা দেশে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এসব মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অগ্নিদুর্ঘটনা কমানোর জন্য সারা দেশে জনগণকে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৮ হাজার ৯৮৩টি মহড়া, ৩ হাজার ৩৬টি সার্ভে, ১৫ হাজার ৬৮৩টি গণসংযোগ করেছে।

এ ছাড়া সারা দেশে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে ৭ হাজার ৭৬৯টি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অপরদিকে ২০২৪ সালে শুধু পোশাকশিল্প কারখানায় ৩ হাজার ৯২১টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪০ জন পোশাক শ্রমিককে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।