ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

সাত কলেজ সংকট সমাধানে ধৈর্য ধরার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

  • আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার ‘সমাধান আসবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান পেয়ে যেতে পারি। এক্ষেত্রে সবারই ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা যদি অধৈর্য হয়ে যাই, কোনো কিছুরই সমস্যার সমাধান হবে না। সবারই ধৈর্যের সাথে এগুলো মোকাবেলা করতে হবে।

মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও ধৈর্য নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তারা ধৈর্যের সাথে জিনিসটা মোকাবিলা করবে এবং ছাত্র ভাইদেরও অনুরোধ করব প্রত্যেকটা জিনিস ধৈর্যের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যেটা সমাধান হয় ওদিকে যেতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আগের রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় চার প্লাটুন বিজিবি।

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটা তো স্বরাষ্ট্রের বিষয় নয়। এ ঘটনাটা হল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজেরে ছাত্রদের একটা বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবজেক্ট। বাট যেহেতু ল’ এ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন চলে এলে আমরা কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনভল্ভ হয়ে যাই। ছোটোখাটো ঘটনা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের রাস্তা বন্ধ করে রাজধানীবাসীর জন্য দুর্ভোগ তৈরি না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আন্দোলন-বিক্ষোভের জন্য কয়েকি জায়গাও দেখিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঠ আছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রয়েছে, এসব জায়গায় প্রতিবাদ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তা না হলে যানজটে জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগীদেরও কষ্ট হয়। শাহবাগে দুটো হাসপাতাল, সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়ে।

কোনো দাবি থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটা জিনিস আলোচনার মধ্যে সলভ হোক তা চাই। কতগুলো দাবি যৌক্তিক থাকতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে যে দাবি থাক না কেন সমাধান করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

সাত কলেজ সংকট সমাধানে ধৈর্য ধরার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৩:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার ‘সমাধান আসবে’ বলেও মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান পেয়ে যেতে পারি। এক্ষেত্রে সবারই ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা যদি অধৈর্য হয়ে যাই, কোনো কিছুরই সমস্যার সমাধান হবে না। সবারই ধৈর্যের সাথে এগুলো মোকাবেলা করতে হবে।

মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও ধৈর্য নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তারা ধৈর্যের সাথে জিনিসটা মোকাবিলা করবে এবং ছাত্র ভাইদেরও অনুরোধ করব প্রত্যেকটা জিনিস ধৈর্যের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যেটা সমাধান হয় ওদিকে যেতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে নিজের মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আগের রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে গভীর রাত পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় চার প্লাটুন বিজিবি।

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটা তো স্বরাষ্ট্রের বিষয় নয়। এ ঘটনাটা হল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজেরে ছাত্রদের একটা বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবজেক্ট। বাট যেহেতু ল’ এ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন চলে এলে আমরা কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনভল্ভ হয়ে যাই। ছোটোখাটো ঘটনা থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত।

এ সময় বিক্ষোভকারীদের রাস্তা বন্ধ করে রাজধানীবাসীর জন্য দুর্ভোগ তৈরি না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আন্দোলন-বিক্ষোভের জন্য কয়েকি জায়গাও দেখিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঠ আছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রয়েছে, এসব জায়গায় প্রতিবাদ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তা না হলে যানজটে জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগীদেরও কষ্ট হয়। শাহবাগে দুটো হাসপাতাল, সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়ে।

কোনো দাবি থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটা জিনিস আলোচনার মধ্যে সলভ হোক তা চাই। কতগুলো দাবি যৌক্তিক থাকতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে যে দাবি থাক না কেন সমাধান করতে হবে।