ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বাদ পড়ছে ৯টি ধারা

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকা বিতর্কিত ৯টি ধারা বাদ দেওয়ায় ৯০-৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজর ফয়েজ আহমদ তাইয়্যেব। তিনি বলেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বিতর্কিত ৯টি ধারা থাকছে না। ধারাগুলো বাদ দিয়ে আইনটি হালনাগাদ করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামত নিয়ে শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন হলে ৯টি ধারা চূড়ান্তভাবে বাদ পড়বে। তখন ওই ধারাগুলোর অধীন থাকা মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। ফলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে। ২২ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের সচিবের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ প্রণয়ন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আইন বাতিল করে এরই মধ্যে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগের সরকারের করা আইনের ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৯ ধারাসহ ৯টি বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যমসহ সব পেশাজীবীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে নতুন অধ্যাদেশ। তবে চারটি অপরাধকে রাখা হয়েছে জামিন অযোগ্য হিসেবে। আগামীতেও কোনো সংযোজন-বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ঠিক না থাকলে ও সভ্য সংস্কৃতি না থাকলে যেকোনো আইনেরই অপব্যবহার সম্ভব। এ আইন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দেবে, বর্তমান সরকার নিবর্তনমূলক কোনো আইন চায় না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা প্রমুখ।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে যা থাকছে এবং বাদ পড়ছে-
= ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।
= সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট করা হয়েছে।
= যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
= কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
= তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে।
= জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না, এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বাদ পড়ছে ৯টি ধারা

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকা বিতর্কিত ৯টি ধারা বাদ দেওয়ায় ৯০-৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজর ফয়েজ আহমদ তাইয়্যেব। তিনি বলেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে বিতর্কিত ৯টি ধারা থাকছে না। ধারাগুলো বাদ দিয়ে আইনটি হালনাগাদ করা হয়েছে। অংশীজনদের মতামত নিয়ে শিগগির এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। সেখানে অনুমোদন হলে ৯টি ধারা চূড়ান্তভাবে বাদ পড়বে। তখন ওই ধারাগুলোর অধীন থাকা মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। ফলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে। ২২ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের সচিবের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ প্রণয়ন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আইন বাতিল করে এরই মধ্যে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগের সরকারের করা আইনের ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৯ ধারাসহ ৯টি বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, গণমাধ্যমসহ সব পেশাজীবীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে নতুন অধ্যাদেশ। তবে চারটি অপরাধকে রাখা হয়েছে জামিন অযোগ্য হিসেবে। আগামীতেও কোনো সংযোজন-বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ঠিক না থাকলে ও সভ্য সংস্কৃতি না থাকলে যেকোনো আইনেরই অপব্যবহার সম্ভব। এ আইন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দেবে, বর্তমান সরকার নিবর্তনমূলক কোনো আইন চায় না।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা প্রমুখ।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে যা থাকছে এবং বাদ পড়ছে-
= ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।
= সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট করা হয়েছে।
= যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
= কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
= তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে।
= জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না, এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে।