ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

অধ্যবসায় ও সততার বিকল্প নেই: নাদিয়া

  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: দেশের নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় ‘নতুন কুঁড়ি’তে তিনি নাচেন এবং অভিনয়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। অভিনয় শেখার আগেই নাদিয়ার নাচ শেখা। নাদিয়ার নাচের গুরু প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। এরপর শিশু একাডেমিতে নাচ শেখার পর সাত বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেন ‘বাফা’ থেকে।

প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন তিনি। এরপর রাইজা খানম ঝুনু, সোহেল রহমান, শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নীপা ও দীপা খন্দকারের কাছেও নাচ শিখেছেন অভিনয়ে নাদিয়ার গুরু এডওয়ার্ড বাড়ই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’র রতন চরিত্রে বাড়ইয়ের লেখা স্ক্রিপ্টে অভিনয় করেই নতুন কুঁড়িতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি। এর পর পরই নাদিয়া বিটিভির ‘বারো রকমের মানুষ’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান।

মাঝে বিরতির পর ২০০০ সাল থেকে নাদিয়া অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করেন। প্রথম প্রচারে আসে রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’ নাটকটি। এতে অভিনয় করে সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী হিসেবে ‘বাচসাস’ পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে তার আগে তিনি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় জীবনের দীর্ঘ পথ চলতে চলতে তিনি এরই মাঝে অভিনয় জীবনের ‘রজতজয়ন্তী’তে (২৫ বছরে) পদার্পণ করেছেন।
নাদিয়া সাম্প্রতিক সময়ে দীপ্ত টিভিতে প্রচার শেষ হওয়া ‘বকুলপুর’ নাটকে অভিনয় করেছেন।

এ ধারাবাহিক নাটকে ‘প্রিন্সেস দিবা’ ও পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান দিবা চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। অভিনয় জীবনের রজতজয়ন্তী প্রসঙ্গে নাদিয়া আহমেদ বলেন, অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের এ পথচলায় দিনের পর দিন দেশে কিংবা দেশের বাইরে মানুষের এই যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, এটাই তো আসলে জীবনের বড় প্রাপ্তি। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ভীষণ আনন্দ নিয়েই পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জীবন উদযাপন করতে ভালোবাসি।

আমি আমার শিক্ষকদের ভীষণ ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। নাদিয়া আরও বলেন, একটা কথা বিশেষভাবে বলতে চাই, জীবনে বড় হতে গেলে অধ্যবসায় ও সততার বিকল্প নেই। আমি আমার সব সহশিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, নাট্যকারসহ নাচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি, সর্বোপরি দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি আজকের নাদিয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অধ্যবসায় ও সততার বিকল্প নেই: নাদিয়া

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: দেশের নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় ‘নতুন কুঁড়ি’তে তিনি নাচেন এবং অভিনয়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। অভিনয় শেখার আগেই নাদিয়ার নাচ শেখা। নাদিয়ার নাচের গুরু প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। এরপর শিশু একাডেমিতে নাচ শেখার পর সাত বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেন ‘বাফা’ থেকে।

প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন তিনি। এরপর রাইজা খানম ঝুনু, সোহেল রহমান, শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নীপা ও দীপা খন্দকারের কাছেও নাচ শিখেছেন অভিনয়ে নাদিয়ার গুরু এডওয়ার্ড বাড়ই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’র রতন চরিত্রে বাড়ইয়ের লেখা স্ক্রিপ্টে অভিনয় করেই নতুন কুঁড়িতে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি। এর পর পরই নাদিয়া বিটিভির ‘বারো রকমের মানুষ’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান।

মাঝে বিরতির পর ২০০০ সাল থেকে নাদিয়া অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করেন। প্রথম প্রচারে আসে রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’ নাটকটি। এতে অভিনয় করে সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী হিসেবে ‘বাচসাস’ পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে তার আগে তিনি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয় জীবনের দীর্ঘ পথ চলতে চলতে তিনি এরই মাঝে অভিনয় জীবনের ‘রজতজয়ন্তী’তে (২৫ বছরে) পদার্পণ করেছেন।
নাদিয়া সাম্প্রতিক সময়ে দীপ্ত টিভিতে প্রচার শেষ হওয়া ‘বকুলপুর’ নাটকে অভিনয় করেছেন।

এ ধারাবাহিক নাটকে ‘প্রিন্সেস দিবা’ ও পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান দিবা চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। অভিনয় জীবনের রজতজয়ন্তী প্রসঙ্গে নাদিয়া আহমেদ বলেন, অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের এ পথচলায় দিনের পর দিন দেশে কিংবা দেশের বাইরে মানুষের এই যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, এটাই তো আসলে জীবনের বড় প্রাপ্তি। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ভীষণ আনন্দ নিয়েই পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জীবন উদযাপন করতে ভালোবাসি।

আমি আমার শিক্ষকদের ভীষণ ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। নাদিয়া আরও বলেন, একটা কথা বিশেষভাবে বলতে চাই, জীবনে বড় হতে গেলে অধ্যবসায় ও সততার বিকল্প নেই। আমি আমার সব সহশিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, নাট্যকারসহ নাচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি, সর্বোপরি দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি আজকের নাদিয়া।