ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ‘ যে কোনো সময়ে’ তা ঘটতে পারে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বাসভবন হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের পুরোনো একটি বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমি আগেও বলেছিলাম, আজও বলছি, ২০২২ সালে যদি আমি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে ইউক্রেন সংকটের সৃষ্টি হতো না, পুতিনও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিতেন না।

পুতিনের সঙ্গে সবসময়েই আমার একটি দৃঢ় সমঝোতা ছিল।” ২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

“পুতিন খুবই স্মার্ট একজন মানুষ এবং ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়ার একমাত্র কারণ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তিনি অপছন্দ করতেন।” সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে সংঘাত থামানোর জন্য নিজেকে ‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ বলে দাবি করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কিও যুদ্ধবিরতি চাইছেন, কিন্তু মস্কো পর্যন্ত তার বার্তা পৌঁছাতে পারছে না। “আমি ইউক্রেনে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চাই এবং এ ইস্যুতে আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কিও শান্তি চান। তার সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কথাও হয়েছে; কিন্তু যুদ্ধের দু’পক্ষের সম্মতি ব্যতীত তা সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “আমরা জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলছি। নিকট ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও আমরা কথা বলব এবং তারপর দেখব কীভাবে সেখানে যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।” সংবাদ সম্মেলনের এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন যে কবে নাগাদ পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে চান তিনি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ যে কোনো সময়ে এটা ঘটতে পারে। যখনই তারা (মস্কো) চাইবে আমি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত আছি।” তবে মস্কোর বিরুদ্ধে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প; বলেছেন, “ক্রেমলিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর) যদি শান্তি সংলাপে আসতে না চায়, তাহলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ইউক্রেনকে আরও বেশি করে অস্ত্র সহায়তা প্রদান করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।” সূত্র : আরটি

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ‘ যে কোনো সময়ে’ তা ঘটতে পারে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রশংসাও করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বাসভবন হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের পুরোনো একটি বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমি আগেও বলেছিলাম, আজও বলছি, ২০২২ সালে যদি আমি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে ইউক্রেন সংকটের সৃষ্টি হতো না, পুতিনও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিতেন না।

পুতিনের সঙ্গে সবসময়েই আমার একটি দৃঢ় সমঝোতা ছিল।” ২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

“পুতিন খুবই স্মার্ট একজন মানুষ এবং ইউক্রেনে তার সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়ার একমাত্র কারণ তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তিনি অপছন্দ করতেন।” সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে সংঘাত থামানোর জন্য নিজেকে ‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ বলে দাবি করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কিও যুদ্ধবিরতি চাইছেন, কিন্তু মস্কো পর্যন্ত তার বার্তা পৌঁছাতে পারছে না। “আমি ইউক্রেনে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চাই এবং এ ইস্যুতে আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কিও শান্তি চান। তার সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কথাও হয়েছে; কিন্তু যুদ্ধের দু’পক্ষের সম্মতি ব্যতীত তা সম্ভব নয়।” তিনি বলেন, “আমরা জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলছি। নিকট ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গেও আমরা কথা বলব এবং তারপর দেখব কীভাবে সেখানে যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।” সংবাদ সম্মেলনের এ পর্যায়ে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন যে কবে নাগাদ পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে চান তিনি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ যে কোনো সময়ে এটা ঘটতে পারে। যখনই তারা (মস্কো) চাইবে আমি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত আছি।” তবে মস্কোর বিরুদ্ধে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প; বলেছেন, “ক্রেমলিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর) যদি শান্তি সংলাপে আসতে না চায়, তাহলে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ইউক্রেনকে আরও বেশি করে অস্ত্র সহায়তা প্রদান করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।” সূত্র : আরটি