ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেজুরের রস পান করে পাঁচজন অসুস্থ

  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থতারা হলেন- আয়েশা খাতুন (৫৫), শিল্পী খাতুন (২৮), প্রিয়া খাতুন (২৬), ইফাত রহমান (১২), আবরার আদিব (৬)। তারা বরামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তান এবং ভাইয়ের স্ত্রী। উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া-বরামপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা।

ইদ্রিস আলী জানান, ১৯ জানুয়ারি সকালে পরিবারের সবাই খেজুরের রস পান করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে ২ জনের বমি, বার বার পাতলা পায়খানা এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। রাত ১টার দিকে অন্য তিনজনেরও একই উপসর্গ দেখা দেয়। ২০ জানুয়ারি ভোরে আক্রান্তদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে স্যালাইন দেওয়া হয়।

এতে অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আক্রান্তরা এখন অনেকটাই সুস্থ জানিয়ে তিনি বলেন, খেজুরের রস থেকে ফুড পয়েজনিং হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সঞ্জিব বণিক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে। তবে ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না যে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

খেজুরের রস পান করে পাঁচজন অসুস্থ

আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার ঈশ্বরদীতে খেজুরের রস পান করে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন অসুস্থ হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থতারা হলেন- আয়েশা খাতুন (৫৫), শিল্পী খাতুন (২৮), প্রিয়া খাতুন (২৬), ইফাত রহমান (১২), আবরার আদিব (৬)। তারা বরামপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তান এবং ভাইয়ের স্ত্রী। উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া-বরামপুর গ্রামের বাসিন্দা তারা।

ইদ্রিস আলী জানান, ১৯ জানুয়ারি সকালে পরিবারের সবাই খেজুরের রস পান করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে ২ জনের বমি, বার বার পাতলা পায়খানা এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর-সর্দি-কাশি শুরু হয়। রাত ১টার দিকে অন্য তিনজনেরও একই উপসর্গ দেখা দেয়। ২০ জানুয়ারি ভোরে আক্রান্তদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানে স্যালাইন দেওয়া হয়।

এতে অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আক্রান্তরা এখন অনেকটাই সুস্থ জানিয়ে তিনি বলেন, খেজুরের রস থেকে ফুড পয়েজনিং হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সঞ্জিব বণিক বলেন, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানাও হতে পারে। তবে ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না যে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা।