ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবলের প্রথম বিলিয়নার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

  • আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: শিরোপা জয়ে রিয়ালের ধারেকাছে নেই অন্য কোনো ক্লাব। রেকর্ড ১৫ বার ইউরোপসেরা ক্লাবটি এবার আয়েও ইতিহাস গড়ল। ইতিহাসের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে এক বছরে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ইউরো রাজস্ব আয় করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর্থিক কনসালটিং ফার্ম ডেলয়েটের লন্ডনে প্রকাশিত ২৮ তম ‘ফুটবল মানি লিগ’ রিপোর্টে গতকাল জানিয়েছে এ খবর।

২০২৩-২০২৪ মৌসুমে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নেতৃত্বাধীন রিয়াল মাদ্রিদ ১.০৬৫ বিলিয়ন ইউরো আয় করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করে ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় এবং ৮০৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৭৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো) ও বায়ার্ন মিউনিখ (৭৬ কোটি ৫০ লাখ ইউরো)। মূলত রিয়ালের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বার্নাব্যু স্টেডিয়াম।

স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি বা ম্যাচ ডে’তে প্রিমিয়াম অফার চালুর মাধ্যমে ম্যাচ ডে আয় বাড়িয়েছে। ম্যাচ আয়োজন করে ২৫১ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ক্লাবটি, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। নতুন ভিআইপি সিটে অতিরিক্ত ৮৩ মিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে তাদের। এছাড়া মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন চুক্তিতে বাণিজ্যিক আয় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সম্প্রচার আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ। ডেলয়েটেরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াডের বাজারমূল্য ১.৩৬৪ বিলিয়ন ইউরো।

একই সঙ্গে ক্লাবের ব্যবসায়িক মূল্য ৫.০৯৭ বিলিয়ন ইউরো। একাডেমির খেলোয়াড় বিক্রি করেও বড় অঙ্ক আয় করেছে রিয়াল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে একাডেমি থেকে মূল দলে আসা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত একাডেমি খেলোয়াড়দের বিক্রয় আয় এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের মাঠে কাটানো মিনিটের শতাংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে তাদের আয় ২১৮ মিলিয়ন ইউরো। তবে আয়ের মতো ব্যয়ও বেড়েছে রিয়ালের।

বর্তমানে তাদের ক্লাবের কর্মী খরচ ৫০৫ মিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে এটি হয়েছে মূলত ক্রীড়া সাফল্যের জন্য দেওয়া ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বোনাসের কারণে। তবে কর্মী খরচ ও অপারেটিং আয়ের অনুপাত (৪৭ শতাংশ) দিক থেকে দক্ষতা দেখিয়েছে ক্লাবটি। ১৬ মিলিয়ন ইউরো নিট লাভ দিয়ে আর্থিক বছর শেষ করেছে, যা বড় বিনিয়োগের পরেও ক্লাবটির আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

ফুটবলের প্রথম বিলিয়নার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেট সময় : ০৬:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: শিরোপা জয়ে রিয়ালের ধারেকাছে নেই অন্য কোনো ক্লাব। রেকর্ড ১৫ বার ইউরোপসেরা ক্লাবটি এবার আয়েও ইতিহাস গড়ল। ইতিহাসের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে এক বছরে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ইউরো রাজস্ব আয় করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর্থিক কনসালটিং ফার্ম ডেলয়েটের লন্ডনে প্রকাশিত ২৮ তম ‘ফুটবল মানি লিগ’ রিপোর্টে গতকাল জানিয়েছে এ খবর।

২০২৩-২০২৪ মৌসুমে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নেতৃত্বাধীন রিয়াল মাদ্রিদ ১.০৬৫ বিলিয়ন ইউরো আয় করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। ৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করে ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয় এবং ৮০৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৭৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো) ও বায়ার্ন মিউনিখ (৭৬ কোটি ৫০ লাখ ইউরো)। মূলত রিয়ালের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বার্নাব্যু স্টেডিয়াম।

স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি বা ম্যাচ ডে’তে প্রিমিয়াম অফার চালুর মাধ্যমে ম্যাচ ডে আয় বাড়িয়েছে। ম্যাচ আয়োজন করে ২৫১ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ক্লাবটি, যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। নতুন ভিআইপি সিটে অতিরিক্ত ৮৩ মিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে তাদের। এছাড়া মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন চুক্তিতে বাণিজ্যিক আয় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সম্প্রচার আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ। ডেলয়েটেরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াডের বাজারমূল্য ১.৩৬৪ বিলিয়ন ইউরো।

একই সঙ্গে ক্লাবের ব্যবসায়িক মূল্য ৫.০৯৭ বিলিয়ন ইউরো। একাডেমির খেলোয়াড় বিক্রি করেও বড় অঙ্ক আয় করেছে রিয়াল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে একাডেমি থেকে মূল দলে আসা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত একাডেমি খেলোয়াড়দের বিক্রয় আয় এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের মাঠে কাটানো মিনিটের শতাংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেখানে তাদের আয় ২১৮ মিলিয়ন ইউরো। তবে আয়ের মতো ব্যয়ও বেড়েছে রিয়ালের।

বর্তমানে তাদের ক্লাবের কর্মী খরচ ৫০৫ মিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে এটি হয়েছে মূলত ক্রীড়া সাফল্যের জন্য দেওয়া ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বোনাসের কারণে। তবে কর্মী খরচ ও অপারেটিং আয়ের অনুপাত (৪৭ শতাংশ) দিক থেকে দক্ষতা দেখিয়েছে ক্লাবটি। ১৬ মিলিয়ন ইউরো নিট লাভ দিয়ে আর্থিক বছর শেষ করেছে, যা বড় বিনিয়োগের পরেও ক্লাবটির আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ।