ক্রীড়া ডেস্ক: টেস্টে ইংল্যান্ড বাজবল তত্ত্ব হাজির করেছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের হাত ধরে। সাফল্যের সেই ধারা ধরে রাখতে সাদা বলেও কোচ করা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ককে। টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বাজবল যুগের শুরুটা গতকাল বুধবার ইডেন গার্ডেন্স থেকে। যদিও দিনশেষে বাজবলের চেয়ে বেশি আলোচনায় ভারতের দুই মুখ। একজন অভিষেক শর্মা আর অন্যজন বরুণ চক্রবর্তী। বরুণের দারুণ স্পেল ইংল্যান্ডকে আটকেছে ১৩২ রানে। কিন্তু অভিষেক শর্মা যা করেছেন, তা নিয়ে আলাদা আলাপ হতেই পারে। ইংলিশদের দেয়া ছোট টার্গেটের মুখে দাঁড়িয়ে খেললেন রীতিমত বিধ্বংসী এক ইনিংস। মাত্র ২০ বলে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। যখন আউট হয়েছেন তখন নামের পাশে দেখাচ্ছে ৩৯ বলে ৭৮ রান।
ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ভারতের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটারদের মাঝে তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক এখন অভিষেকের। গতকাল তার হাঁকানো ৮ ছক্কাও জায়গা করে নিয়েছে দেশের রেকর্ডবুকে। ফিফটি করা ইনিংসে ভারতের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড এখন এই তরুণ ওপেনারের। তার এই ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে ভারত রান টপকেছে ১২.৫ ওভারে। এটাই ভারতের ১৩০+ টার্গেটে সবচেয়ে দ্রুত রানতাড়ার রেকর্ড। তবে অভিষেকের ব্যাটে চড়ে রেকর্ড আসলেও প্রশংসায় ভাসছেন আরেকজন। তিনি ভারতের ক্রিকেটের কিংবদন্তি বনে যাওয়া যুবরাজ সিং। অভিষেকের বিধ্বংসী ইনিংসের পর থেকেই ভারতের নেট দুনিয়ায় চলছে যুবরাজ-বন্দনা। অবশ্য এমন কিছু হওয়াটা অস্বাভাবিক ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে এই যুবরাজের পরার্মশেই যে অভিষেক হয়ে উঠেছেন আরও বেশি ক্ষুরধার। আইপিএলে দারুণ ফর্মে থাকা অভিষেক এর আগে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন বেশ কিছুদিন।
তাকে বড় ইনিংস খেলার টোটকা দিয়েছেন এই যুবরাজই। যুবরাজের অ্যাকাডেমিতে থাকাকালে অভিষেকের ব্যাটিং স্টান্সে বদল আনেন। যুবরাজের ট্রেনিংয়ে, ১০০ মিটারের বাউন্ডারি পার করতে পারলেই কেবল ছয় রান ধরা হতো। না হলে আউট। হেভিওয়েট ট্রেনিং ও শরীরের ওজনও বাড়ানো হয়েছিল যুবরাজের নির্দেশে। ইডেনে অভিষেকের ইনিংসের পুরোটা জুড়েই সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডারের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতোই। এমনকি ম্যাচ শেষে যুবরাজ নিজেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অভিষেককে। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে করা টুইটে যুবরাজ লিখেছেন, ‘সিরিজে দারুণ সূচনা হলো ছেলেরা! বোলাররা ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আর দারুণ খেলেছেন স্যার অভিষেক শর্মা। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে ২টা ছক্কা ছিল দেখে আমি সত্যিই অভিভূত।