বিদেশের খবর ডেস্ক : গতবছর ডিসেম্বরে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়া সাতটি বিমানবন্দরে থাকা ন্যাভিগেশন ব্যবস্থার জন্য ব্যবহৃত কংক্রিটের দেয়াল সরানোর পরিকল্পনা করেছে। দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা। কংক্রিটের দেয়াল সরানো ছাড়াও সাতটি বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা এলাকাগুলোও নতুন করে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত হয়। দুর্ঘটনায় পড়া জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে যাত্রীদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরছিল।
মুয়ান বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সময় রানওয়ের শেষে থাকা ওই কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা লাগলে বিমানটি বিস্ফোরিত হয়। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কংক্রিটের দেয়ালটি না থাকলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতে পারত। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কংক্রিটের দেয়াল মূলত উড়োজাহাজের অবতরণে সহায়ক ন্যাভিগেশন ব্যবস্থার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ব্যবস্থা ” লোকালাইজার” নামে পরিচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য বিমানবন্দর এমনকি বিদেশের বিমাবন্দরেও এই ব্যবস্থা আছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার উড়োজাহাজ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
নিরাপত্তা পরিদর্শকরা বর্তমানে এই ধরনের নয়টি ব্যবস্থা চিহ্নিত করেছেন, যেগুলোর সংস্কার করা প্রয়োজন। এর মধ্যে মুয়ান এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর জেজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আছে। কংক্রিটের এই কাঠামোগুলো হালকা ওজনের স্থাপনা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা অথবা মাটির নিচে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।