প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তার এই ঘোষণার পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) চীনা শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের সিএসআই ৩০০ সূচকে দিনের শুরুতেই ১ শতাংশের বেশি পতন হয়। তবে দিনের শেষে লেনদেনের সূচকটি ০.৯ শতাংশ কমে স্থির হয়েছে।
এছাড়া, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচকও ছয় দিনের টানা বৃদ্ধির পর বুধবার ১ দশমিক ৬ শতাংশ পতন দেখেছে।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তার প্রশাসন চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, চীন মেক্সিকো ও কানাডায় ফেন্টানাইল পাঠাচ্ছে, যা তিনি আগেও উল্লেখ করেছিলেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেও এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, চীন মাদক নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অন্যতম কঠোর দেশ। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, শুল্ক বা বাণিজ্য যুদ্ধের কেউ বিজয়ী হয় না। আমরা সবসময় আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবো।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিন চীনবিরোধী বক্তব্যের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও এখন তার কঠোর নীতি ফিরে আসছে। তবে, ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপই চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া একমাত্র পদক্ষেপ হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প চীনের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।
আইএসইএএস – ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং ফেলো স্টিফেন ওলসন মনে করেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য তার অনিশ্চিত নীতি ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতাকে নির্দেশ করে।
তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, চীনের ওপর শুল্ক আসছে। তবে এর মাত্রা, ক্ষেত্র বা সময় নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। চীন আপাতত শুল্ক আরোপের বিষয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তারা ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। তবে, বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, শুল্ক আরোপ হলে চীনও এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া