ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিল্পকলার মঞ্চে চীনা অপেরা

  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে হল চীনা নববর্ষের উদযাপন। শিল্পকলা একাডেমি ও চীনা দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার ঝিজিয়াং উু অপেরা’ নামের এ আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ চীনা নববর্ষ উদযাপন এবং চীনা লোককাহিনী নিয়ে কথা বলেন। চীনের দার্শনিক হিউয়েন সাং এর বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং তার মাধ্যমে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের যোগসূত্রের কথা তুলে ধরেন।

আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনা নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিস্তৃত পরিসরে ‘স্প্রিং ফেস্টিভাল’ উদযাপিত হয়। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুরাতন বছর থেকে বেরিয়ে নতুন বছরে পদার্পণের এই উৎসবের অন্যতম অংশ হল পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি এবং বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। ২০২৫ সালের নতুন বর্ষকে ‘ইয়ার অব দ্যা স্নেক’ ঘোষণা করেছে চীন। ঐতিহ্যগতভাবে চীনা সংস্কৃতিতে সাপকে পরিবর্তন, জ্ঞান এবং স্থায়িত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা জানি বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ের যুগে প্রবেশ করেছে। আমি চীন সরকার এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আশা করি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।” বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও য়েন বলেন, “এটা একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বসে চীনা অপেরা উপভোগ করার। আমার আশা, বাংলাদেশের বন্ধুরা এই আয়োজনটি উপভোগের মাধ্যমে চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাবে।”

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক পুরনো, সে কথা তুল ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, “দুই দেশ এখন নানামুখি অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সহযোগী।” এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, “সংস্কৃতিই সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশের মাঝে সম্পর্ক গড়ে তুলতে। বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক নতুন নয়, অনেক বছর আগে থেকেই এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে এবং তা অব্যাহত থাকবে।” আলোচনা পর্বের পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী মনিপুরী নৃত্য পরিবেশিত হয়।

সিলেটের ‘একাডেমি ফর মুনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস’ এর শিল্পীরা ১০ মিনিটের এ নৃত্য প্রযোজনা উপস্থাপন করেন। এরপর চীনের ‘ঝিজিয়াং উু অপেরা’ এবং চীনের শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

শিল্পকলার মঞ্চে চীনা অপেরা

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে হল চীনা নববর্ষের উদযাপন। শিল্পকলা একাডেমি ও চীনা দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার ঝিজিয়াং উু অপেরা’ নামের এ আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ চীনা নববর্ষ উদযাপন এবং চীনা লোককাহিনী নিয়ে কথা বলেন। চীনের দার্শনিক হিউয়েন সাং এর বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং তার মাধ্যমে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের যোগসূত্রের কথা তুলে ধরেন।

আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনা নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিস্তৃত পরিসরে ‘স্প্রিং ফেস্টিভাল’ উদযাপিত হয়। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুরাতন বছর থেকে বেরিয়ে নতুন বছরে পদার্পণের এই উৎসবের অন্যতম অংশ হল পারিবারিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি এবং বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। ২০২৫ সালের নতুন বর্ষকে ‘ইয়ার অব দ্যা স্নেক’ ঘোষণা করেছে চীন। ঐতিহ্যগতভাবে চীনা সংস্কৃতিতে সাপকে পরিবর্তন, জ্ঞান এবং স্থায়িত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “আমরা জানি বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ের যুগে প্রবেশ করেছে। আমি চীন সরকার এবং দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আশা করি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।” বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও য়েন বলেন, “এটা একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বসে চীনা অপেরা উপভোগ করার। আমার আশা, বাংলাদেশের বন্ধুরা এই আয়োজনটি উপভোগের মাধ্যমে চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাবে।”

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক পুরনো, সে কথা তুল ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, “দুই দেশ এখন নানামুখি অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও সহযোগী।” এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চীন এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, “সংস্কৃতিই সবচেয়ে ভালো ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশের মাঝে সম্পর্ক গড়ে তুলতে। বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্ক নতুন নয়, অনেক বছর আগে থেকেই এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে এবং তা অব্যাহত থাকবে।” আলোচনা পর্বের পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী মনিপুরী নৃত্য পরিবেশিত হয়।

সিলেটের ‘একাডেমি ফর মুনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস’ এর শিল্পীরা ১০ মিনিটের এ নৃত্য প্রযোজনা উপস্থাপন করেন। এরপর চীনের ‘ঝিজিয়াং উু অপেরা’ এবং চীনের শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।