ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯ গোলের লড়াইয়ে বার্সার নাটকীয় জয়

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: ৯৯তম মিনিটে বাজল শেষের বাঁশি। এর আগে ম্যাচজুড়ে ঘটল অনেক ঘটনা। বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবার খেলতে নেমে দুটি ভুল করে বসলেন গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যেই হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন বেনফিকার ভাগ্যেলিস পাভলিদিস। শেষ দিকে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়াল দুর্দান্তভাবে। রূপকথার গল্প লিখে অবিশ্বাস্য এক জয় পেল হান্সি ফ্লিকের দল। লিসবনে মঙ্গলবার রাতে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩-১ ও দ্বিতীয়ার্ধে একটা পর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে গেল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে দুইয়ে আছে তারা। ৮৬তম মিনিটে এরিক গার্সিয়া সমতা টানার পর ৯৬তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন রাফিনিয়া। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ও রবের্ত লেভানদোভস্কি করেন দুটি করে গোল। কী ছিল না ম্যাচে। বার্সেলোনার দুটিসহ পেনাল্টি হয় মোট তিনটি। আত্মঘাতী গোল করেন বার্সেলোনার রোনাল্দ আরাউহো। শেষ গোলের পর লাল কার্ড দেখেন বেনফিকার বেঞ্চের খেলোয়াড় আর্থার কাব্রাল।

দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় বেনফিকা। তমাস আরাউহোর উঁচু করে বাড়ানো বল বাঁ দিকে পেয়ে আলভারো ফের্নান্দেস পাস দেন বক্সে, আর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শটে বল জালে পাঠান পাভলিদিস। ষষ্ঠ মিনিটে অল্পের জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফ্রেদরিক। নবম মিনিটে সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মারেন পোলিশ স্ট্রাইকার। ত্রয়োদশ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার স্পট-কিকে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। আলেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বক্সে সুযোগ পান গাভি। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে এক হাতে ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক। স্ট্যান্সনির মারাত্মক ভুলে ২২তম মিনিটে বেনফিকাকে আবার এগিয়ে নেন পাভলিদিস। বক্সের অনেকটা বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ বাল্দের পায়ে মেরে বসেন পোলিশ গোলরক্ষক, দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আলগা বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান গ্রিক স্ট্রাইকার। ২৮তম মিনিটে আরেকটি ভুল করেন অবসর ভেঙে ফেরা স্ট্যান্সনি। বক্সে তিনি ফাউল করেন আকতুরকোগলুকে

পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। সফল স্পট-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস। এই ম্যাচের আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিয়ে ৬ ম্যাচে ৪০২ মিনিট খেলে পাভলিদিসের গোল ছিল কেবল একটি। এবার তিনি ৩০ মিনিটের মধ্যে করলেন হ্যাটট্রিক! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক এটি। ২০২২ সালে রেড বুল সালসবুর্কের বিপক্ষে লেভানদোভস্কি ২৩ মিনিটে ও ১৯৯৬ সালে রোসেনবর্গের বিপক্ষে মার্কো সিমোন ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি সুযোগ পান রাফিনিয়া। লেভানদোভস্কির পাস বক্সে ভালো পজিশনে পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে সুযোগ পান লামিনে ইয়ামাল। তবে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার। আগে থেকে অল্প অল্প ঝরলেও, একটু পর বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। ৬২তম মিনিটে একসঙ্গে দুটি পরিবর্তন আনেন বার্সেলোনা কোচ। মার্ক কাসাদো ও গাভিকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও ফের্মিন লোপেসকে।

৬৪তম মিনিটে বেনফিকার গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিনের ভুলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ত্রুবিনের গোল কিকে বক্সের ঠিক বাইরেই থাকা রাফিনিয়া পেতে দেন মাথা, বল জড়ায় জালে! চার মিনিট পরই অবশ্য দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা। এবার ভুল করে বসেন আরাউহো। বক্সের বাঁ দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়ানো বল স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। ৭১তম মিনিটে বদলি নামেন বেনফিকার আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা আনহেল দি মারিয়া।

৭৮তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইয়ামাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় লেভানদোভস্কির মোট গোল হলো ১০৩টি। তার ওপরে আছেন কেবল লিওনেল মেসি (১২৯) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (১৪০)। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে ৪-৪ সমতা টানেন এরিক গার্সিয়া। পেদ্রির ক্রসে কাছ থেকে লাফিয়ে চমৎকার হেডে গোলটি করেন ৭৪তম মিনিটে বদলি নামা এই ডিফেন্ডার।

৮৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান দি মারিয়া। তার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন স্ট্যান্সনি। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বার্সেলোনার বক্সে বেনফিকার একজন পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে স্বাগতিকরা। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। সেখান থেকেই আক্রমণে ওঠে বার্সেলোনা। ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা বার্সেলোনা শিবির।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

৯ গোলের লড়াইয়ে বার্সার নাটকীয় জয়

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: ৯৯তম মিনিটে বাজল শেষের বাঁশি। এর আগে ম্যাচজুড়ে ঘটল অনেক ঘটনা। বার্সেলোনার জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথমবার খেলতে নেমে দুটি ভুল করে বসলেন গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যেই হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন বেনফিকার ভাগ্যেলিস পাভলিদিস। শেষ দিকে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়াল দুর্দান্তভাবে। রূপকথার গল্প লিখে অবিশ্বাস্য এক জয় পেল হান্সি ফ্লিকের দল। লিসবনে মঙ্গলবার রাতে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩-১ ও দ্বিতীয়ার্ধে একটা পর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে গেল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে দুইয়ে আছে তারা। ৮৬তম মিনিটে এরিক গার্সিয়া সমতা টানার পর ৯৬তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন রাফিনিয়া। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ও রবের্ত লেভানদোভস্কি করেন দুটি করে গোল। কী ছিল না ম্যাচে। বার্সেলোনার দুটিসহ পেনাল্টি হয় মোট তিনটি। আত্মঘাতী গোল করেন বার্সেলোনার রোনাল্দ আরাউহো। শেষ গোলের পর লাল কার্ড দেখেন বেনফিকার বেঞ্চের খেলোয়াড় আর্থার কাব্রাল।

দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায় বেনফিকা। তমাস আরাউহোর উঁচু করে বাড়ানো বল বাঁ দিকে পেয়ে আলভারো ফের্নান্দেস পাস দেন বক্সে, আর ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শটে বল জালে পাঠান পাভলিদিস। ষষ্ঠ মিনিটে অল্পের জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফ্রেদরিক। নবম মিনিটে সুযোগ পান লেভানদোভস্কি। বক্সের ভেতর থেকে উড়িয়ে মারেন পোলিশ স্ট্রাইকার। ত্রয়োদশ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার স্পট-কিকে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। আলেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বক্সে সুযোগ পান গাভি। তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে এক হাতে ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক। স্ট্যান্সনির মারাত্মক ভুলে ২২তম মিনিটে বেনফিকাকে আবার এগিয়ে নেন পাভলিদিস। বক্সের অনেকটা বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ বাল্দের পায়ে মেরে বসেন পোলিশ গোলরক্ষক, দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আলগা বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান গ্রিক স্ট্রাইকার। ২৮তম মিনিটে আরেকটি ভুল করেন অবসর ভেঙে ফেরা স্ট্যান্সনি। বক্সে তিনি ফাউল করেন আকতুরকোগলুকে

পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। সফল স্পট-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস। এই ম্যাচের আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিয়ে ৬ ম্যাচে ৪০২ মিনিট খেলে পাভলিদিসের গোল ছিল কেবল একটি। এবার তিনি ৩০ মিনিটের মধ্যে করলেন হ্যাটট্রিক! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক এটি। ২০২২ সালে রেড বুল সালসবুর্কের বিপক্ষে লেভানদোভস্কি ২৩ মিনিটে ও ১৯৯৬ সালে রোসেনবর্গের বিপক্ষে মার্কো সিমোন ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দারুণ একটি সুযোগ পান রাফিনিয়া। লেভানদোভস্কির পাস বক্সে ভালো পজিশনে পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে সুযোগ পান লামিনে ইয়ামাল। তবে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার। আগে থেকে অল্প অল্প ঝরলেও, একটু পর বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। ৬২তম মিনিটে একসঙ্গে দুটি পরিবর্তন আনেন বার্সেলোনা কোচ। মার্ক কাসাদো ও গাভিকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও ফের্মিন লোপেসকে।

৬৪তম মিনিটে বেনফিকার গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিনের ভুলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। ত্রুবিনের গোল কিকে বক্সের ঠিক বাইরেই থাকা রাফিনিয়া পেতে দেন মাথা, বল জড়ায় জালে! চার মিনিট পরই অবশ্য দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা। এবার ভুল করে বসেন আরাউহো। বক্সের বাঁ দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়ানো বল স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। ৭১তম মিনিটে বদলি নামেন বেনফিকার আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা আনহেল দি মারিয়া।

৭৮তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। ইয়ামাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় লেভানদোভস্কির মোট গোল হলো ১০৩টি। তার ওপরে আছেন কেবল লিওনেল মেসি (১২৯) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (১৪০)। নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে ৪-৪ সমতা টানেন এরিক গার্সিয়া। পেদ্রির ক্রসে কাছ থেকে লাফিয়ে চমৎকার হেডে গোলটি করেন ৭৪তম মিনিটে বদলি নামা এই ডিফেন্ডার।

৮৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ পান দি মারিয়া। তার শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন স্ট্যান্সনি। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বার্সেলোনার বক্সে বেনফিকার একজন পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে স্বাগতিকরা। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। সেখান থেকেই আক্রমণে ওঠে বার্সেলোনা। ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা বার্সেলোনা শিবির।